সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়ে ইয়াসীগুইন্দজা বলে, তা ভাই দেমাক্ হবে না? ওতো আবার শাদা চামড়ারও ঘর করে এসেছে!
শেষোক্ত কথাটাও যে তাকে আঘাত করবার জন্যেই বলা হলো, সেকথা বুঝতে ইন্দৌভৌরার দেরি লাগে না। হাত-পা ছুঁড়ে চীৎকার করে উঠলো, বলি ও বুড়ো মাগী···আমি কি বুঝতে পারছি না, যে তুই আমাকেই অপমান করে এই সব কথা বলছিস্? আমারও জানতে বাকি নেই তোর গুণের কথা। বাজারের মড়া, আস্তাকুঁড়ের জঞ্জাল, ফের যদি ও সব কথা বলবি তো গলা টিপে মেরে ফেলবো!
ইয়াসী—বলি, চেঁচাচ্ছো কেন বাপু? আস্তে কথা বলো না···আমি তো আর কালা নই!
ইন্দৌ—তা হবি কেন? বালাই ষাট···বড় দেমাক হয়েছে, না? এই হামানদিস্তে দিয়ে তোর মুখ থেতো করে দেবো! আসুক না বাতোয়ালা বাড়ী ফিরে, আমি সব বলে দেবো···লুকিয়ে বিসিবিংগুই-এর সঙ্গে মজা করা! আমি সব বলে দেবো···
ইয়াসী—বলি হঠাৎ এত রাগের কি হলো? ওহো-ওঃ···বুঝেছি···বুঝেছি···অনেক বর্ষা একসঙ্গে কাটিয়েছি কিনা, তাই ভুলে গিয়েছিলাম যে তুমিও সেই নাংগাপৌ জাত থেকে এসেছো, তুমিও শাদা–চামড়ার ঘর করে এসেছো!
৫০