এরপর আর কথা-কাটাকাটি করার দরকার হয় না! আহত বাঘিনীর মতন ইন্দৌভৌরা ইয়াসীগুইন্দজার দিকে তেড়ে যায়। যদি তার সপত্নীরা মাঝপথে তাকে ধরে না ফেলতো, তাহলে হয়ত ইয়াসীগুইন্দজাকে সে আঁচড়ে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলতো। মনের ঝাল মেটাতে না পেরে যা খুশী গালাগাল দিয়ে চলে। দরকার হলে সে কমাণ্ডারের কাছে গিয়ে নালিশ করবে। সকলকে ডেকে সে জানিয়ে দেবে, কি করে “ইয়ারো” খেয়ে সে পেটের ছেলে নষ্ট করে ফেলে, পঞ্চায়েৎ ডেকে সে গাঁয়ের বড়ো মোড়লদের কাছে তার বিচার দাবী করবে। বিসিবিংগুইকে নিয়ে ইয়াসীগুইন্দজা যা খুশী তাই করুক না কেন! বিসিবিংগুই-এর মতন লোককে সে এক কাণাকড়িও মূল্য দেয় না! যে বেটাছেলের গায়ে কাসিবি ঘা ভর্তি, কি দরকার তার সঙ্গে ওঠা-বসার?
ইন্দৌ—কথায় বলে না, পেট যার ভর্তি থাকে, সেই বলে আমার আর ক্ষিদে নেই!
স্থির কণ্ঠে ইয়াসাগুইন্দজা জবাব দেয়, বলি, হিংসে এমনি জিনিস! কই, আমার কাছ থেকে তুই যখন বিসিবিংগুইকে নিয়েছিলি, আমি কি তোর মতন চেঁচিয়েছিলাম?
ইন্দৌ—কেন, বিসিবিংগুই কি তোর সম্পত্তি নাকি? লোভ দেখ।
যেমন হঠাৎ ঝড় ওঠে, তেমনি হঠাৎ আবার থেমে যায়।
৫১