সপত্নীরা দু’পক্ষকেই থামিয়ে দেয়।
ইয়াসীগুইন্দজা হাসতে হাসতে বলে, খুব হলো, আর নয়! একদিনের পক্ষে খুব যথেষ্টই হলো। আয়, সবাই মিলে এখন খানিকটা গলায় ঢালা যাক্! শোবার মাদুর, পেটপুরে খাওয়া, খানিকটা বিয়ার, মিষ্টি পিঠে, নাচ-গান, আর হুঁকো ভর্তি তামাক—এ ছাড়া দুনিয়ায় চাইবার আর কি আছে?
সবাই মিলে হুল্লোড় করে ইয়াসীগুইন্দজার প্রস্তাবকে গ্রহণ করলো।
কয়েক মুহূর্ত আগে, সেখানে যে ঝড় বয়ে চলেছিল, তার কোন চিহ্নই রইলো না।
আবার সেই প্রতিদিনকার অভ্যস্ত জীবনের পরিচিত ধারা।
এমন সময় সহসা বাতাস বন্ধ হয়ে যায়। যেন শ্বাসরোধ হয়ে আসে। কোথা থেকে উড়ে আসে, ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি, মাছি···অফুরন্ত, অগণিত···সব জায়গা ছেয়ে ফেলে।
একটি একটি করে নিস্তব্ধ হয়ে আসে পাখীর দল। একটি একটি করে আকাশ থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় শকুনিরা।
দেখতে দেখতে গাঁয়ের পেছন দিক থেকে প্রকাণ্ড মেঘের দল মাথা তুলে জেগে ওঠে। থাকের পর থাক জমা হতে হতে ক্রমশ তাদের রঙ বদলাতে শুরু করে। এলোমেলো ঝড় এসে তাদের আকাশময় টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেয়। কি এক অদৃশ্য মায়াশক্তি তাদের নদীর দিকে আকর্ষণ করে নিয়ে আসে।
৫২