কিছু দূরে ঐ সৌমানা গাঁ আর ইয়াকিজি গাঁয়ের মাঝখানে কে যেন ঝুলিয়ে দিল আকাশ থেকে মাটী পর্যন্ত পাতলা একটা আবছা পর্দা···বৃষ্টি···বৃষ্টি নেমেছে ওখানে।
হঠাৎ দূর অদৃশ্য লোক থেকে এক ঝলক তীব্র গরম হাওয়া ছুটে আসে···কলাগাছের পাতায় পাতায় সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়···চারদিক থেকে আবার ওঠে বিচিত্র সব ব্যাঙের আওয়াজ···বৃষ্টিকে তারা ডাকছে।
দেখতে দেখতে চারদিক থেকে এলোমেলো বাতাস ফুলে ফেঁপে ছুটতে আরম্ভ করে। গাছ-পালা, লতা-গুল্ম, ভেঙ্গে ছিড়ে তছনছ ক’রে ফেলে; গাঁয়ের পথের যত মেটে–ধূলো বাতাসের সঙ্গে মিশে আকাশ আচ্ছন্ন করে ফেলে; এক নিমেষে সমস্ত অন্ধকার করে দিয়ে যেখান থেকে এসেছিল, তারা আবার সেখানে চলে যায়! এরা দুর্বল। এরা শুধু জানিয়ে গেল, আসছে সে, যে মহাপ্রবল, প্রলয়ের রাজা।
আবার কিছুক্ষণের জন্যে সব নিস্তব্ধ হয়ে যায়। নিশ্চল, নিথর নিস্তব্ধতা।
তারপর সহসা বজ্রভেরী বাজিয়ে শুরু হয় বৃষ্টি। বাতাস ভরে যায় ভিজে মাটির মিষ্টি গন্ধে। আকাশ ছিঁড়ে নামে ঝড়ের মাতন। কাছে কোথাও বাজ পড়লো। প্রত্যেক মুহূর্তের সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতর হয়ে ওঠে ঝড়। তীরের মতন অবিরাম অজস্র ধারায় পড়ে বৃষ্টি। দেখতে দেখতে ঝড়ের
৫৪