পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 বাতোয়ালা গালে হাত দিয়ে ভাবে, সামনের গান্‌জার উৎসব তবে কি এইরকম বৃষ্টির জলে ভেসে যাবে?

 দেখতে দেখতে আকাশে ভাঙ্গা চাঁদ পুরো হয়ে এলো। এলো উৎসবের রাত। গান্‌জার উৎসব শুরু হয়ে গেল।

 বরাৎ ভাল, হপ্তাখানেক হল গ্রিমারী[] ছেড়ে কমাণ্ডার বাইরে চলে গিয়েছে। বাড়ী থেকে বেড়াল দূর না হলে, ইঁদুররা নিশ্চিন্তে কি করে খেলতে বেরোয়? বামুন গেল ঘর, তো লাঙ্গল তুলে ধর! তাই তারা সবাই ছুটলো কমাণ্ডারের অফিসের সামনের মাঠে। সারা গাঁয়ের মধ্যে এমন সুন্দর আর এত বড় খোলা জায়গা আর একটিও নেই। গান্‌জার সময় যে যুদ্ধের নাচ হবে, এমনি বড় জায়গা না পেলে কি করে তা হবে?

 কমাণ্ডারের বাংলো থেকে বাম্বার তীর পর্যন্ত এই মাঠ চলে গিয়েছে। কমাণ্ডারের বাংলোর পাশেই তাঁর অফিস, সামরিক তাঁবু আর ফাঁড়ি। রক্ষী হিসাবে আছে মাত্র একজন সৈনিক, বুড়ো বৌলা। বৌলা মাইডিয়ার লোক, তাকে ভয় করবার কিছুই নেই।

 পুরো দমে চলে উৎসবের আয়োজন। নাচের সঙ্গীতের জন্যে পর পর বারোটা জায়গায় বারোটা লিংঘা বসানো হয়েছে।


  1. বাতোয়ালাদের গাঁয়ের নাম, স্থানীয় ফরাসী শাসনকর্তার হেডকোয়ার্টার।

৫৬