পুরানো পোকায় কাটা যন্ত্র নয়···গান্জার জন্যে তৈরী নতুন বাদ্য-যন্ত্র···কাদা আর ময়দা আর রঙ গুলিয়ে প্রত্যেকটিকে চিত্র-বিচিত্র করা হয়েছে।
মাঠের একধারে নানারকমের সব খাদ্য ঝুড়ির পর ঝুড়ি সাজিয়ে রাখা হলো—কোন ঝুড়িতে ভুট্টার খই, কোনটাতে সবজীর পিঠে, কাঁদি কাঁদি কলা, বুনো টমাটো, বড় বড় মাটির ডিস ভর্তি শুঁয়ো পোকা, ডিম, মাছ। আগে থাকতেই চাঁই চাঁই হরিণ আর হাতীর মাংস রোদে শুকিয়ে আর আগুনে পুড়িয়ে তৈরী করে রাখা হয়েছিল। বুনো ষাঁড়ের আস্তো ঠ্যাং আগুনে সেঁকে ঝুলিয়ে রাখা হলো। সেই সঙ্গে মজুত রইলো ঝুড়ি ঝুড়ি নানা রকমের বুনো আলু, শাদা চামড়াওয়ালারা এ-সব আলু মুখে তোলে না! তার স্বাদ জানবে কি করে! একপাশে বড় বড় মাটির কলসীতে মুখ পর্যন্ত ভর্তি করে রাখা হলো তাদের নিজের হাতে চোলাই–করা মদ। আয়োজনকে সম্পূর্ণ করবার জন্যে বাতোয়ালা কয়েক বোতল বিদেশী মদও জোগাড় করে রাখতে ভুললো না। অবশ্য, সে-বোতলগুলো মজুত রইলো শুধু বড় বড় সর্দার আর পঞ্চায়েতের মাথাদের জন্যে। আয়োজন দেখে সবাই বুঝলো, গান্জা জমবে ভাল।
মাঠের চারদিক থেকে কাঁচা কাঠের আগুনের ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে ওপরে উঠতে থাকে। সেই ধোঁয়ার কুণ্ডলী লক্ষ্য করে দূর দুরান্ত গাঁ থেকে তারা আসতে আরম্ভ করে ছেলে, বুড়ো, যুব,
৫৭