যুবতী, কুলী, মজুর, এমন কি তাদের সঙ্গে সঙ্গে গাঁয়ের কুকুরগুলোও পিছু পিছু চলে।
তাদের “কাগা” ছেড়ে, জঙ্গল ছেড়ে, বুনো জলা ছেড়ে, দলে দলে তারা আসতে আরম্ভ করে···তারা আসছেই আসছে···হাতে বর্শা, পিঠে···ধনুক দলের মোড়লদের হাতে একটা করে জ্বলন্ত কাঠ···বনের অন্ধকারে সেই জ্বলন্ত কাঠের মশালে পথ দেখে দেখে তারা এগিয়ে চলে···
মেয়েরা এসেই ভোজের আয়োজনে যোগদান করে। বড় বড় কাঠের জাঁতায় তারা গম আর বুনো ভুট্টা পিষতে সুরু করে দেয়। পেষবার সঙ্গে সঙ্গে তারা সবাই মিলে শুরু করে দেয় গান।
এক এক কলি গান শেষ হয় আর হাসির হর্রা ওঠে। হাসতে হয় বলে তারা হাসে। কথা বলতে হবে বলে তারা কথা বলে, তা সে কথার কোন মানে থাক আর নাই থাক। ক্রমশ তাদের হাসি আর কথা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, চোলাইকরা ‘কেনে’র কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যে যখন পাড়ছে, ভাঁড় ভর্তি করে গলায় ঢালছে।
দেখতে দেখতে মাঠ ভরাট হয়ে ওঠে। ম্বিসেরা এসেছে, নাংগাপুরা এসেছে, ডাকারা এসেছে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে এসেছে তাদের মোড়লরা।
সর্দাররা মাঠের মাঝখানে একটা জায়গায় গোল হয়ে সকলে
৫৮