করেই বলতে হলো। মনে মনে ভাবছি, হাজার হোক পর্তুগীজরা হলো শাদা চামড়া, আমার কথা কি কমাণ্ডার শুনবে? আরে, শোন ব্যাপার, কমাণ্ডার কি বল্লো জানো? আমাকে ডেকে বললো, পাঙ্গাকৌরা, তুমি হচ্ছো যাকে বলে অপদার্থের অপদার্থ! তোমার মত মূর্খ আমি আর একটিও দেখিনি! তুমি কি জান না যে, পুর্ত্রিকিস্দের আমরা থোড়াই কেয়ার করি? পুর্ত্রিকিস্ আবার মানুষ নাকি! শোন তাহলে বলি। শাদা লোকদের যিনি ভগবান, তিনি যখন মানুষ তৈরী করতে বসলেন, তখন হাতের কাছে যত সব ভাল জিনিস পেলেন তাই দিয়ে তিনি আমাদের তৈরী করলেন। সমস্ত ভাল জিনিস যখন ফুরিয়ে গেল, তখন যে-সব ময়লা আর নোংরা জিনিস পড়েছিল, তাই দিয়ে তখন তোমাদের মতন ডার্টী নিগারদের তৈরী করলেন। এইভাবে ভালমন্দ সব জিনিসই যখন ফুরিয়ে গেল, তখন ভগবানের নজর পড়লো এই পুর্ত্রিকীস্দের তৈরী করার ওপর! তখন আর কি দিয়ে তৈরী করবেন? অগত্যা নিগ্রোদের পরিত্যক্ত মল-মূত্র থেকে তিনি পুর্ত্রিকীস্দের তৈরী করলেন। বুঝলে এখন?”
পাঙ্গাকৌরার অভিজ্ঞতার গল্পে সবাই অট্টহাস্য করে ওঠে।
বাতোয়ালা জিজ্ঞাসা করলো, আচ্ছা, রবারের দাম যে এই রকম পড়ে গিয়েছে, তাতে কি মনে কর, আমাদের কোন সুবিধে হবে?
৬০