পাঙ্গাকৌরা বলে, তার জন্যেই তো আজ আমরা নিশ্চিন্তে এই উৎসবে জমায়েত হতে পেরেছি। শাদা লোকগুলো সব ছুটছে রবার কিনতে। আমাদের কিনতে হলে যেখানে পাঁচ ফ্রাঙ্ক দিতে হয় সেখানে শাদা লোকগুলো তার দশ ভাগেরও কম দাম, দেয়।
ইয়াকিজী বলে ওঠে, তুমি ঠিক করেছে। বাতোয়ালা! বাধ্য হয়েই এখন ব্যবসায়ী বেটারা সব ক্রেবেজীতে গিয়ে ধন্না দিয়েছে!
কে একজন বলে ওঠে, ব্যাটারা কবে মরবে? বুক পর্যন্ত কাদায় ডুবে, মুখ হাঁ করে কবে মরবে বেটারা?
কে একজন উত্তর দিয়ে ওঠে, তার জন্যে ভাবনা কি! দেখছো না, বন্দুকওয়ালা শাদা সেপাইগুলো জাহাজ ভর্তি হয়ে যাচ্ছে···শাদা জার্মাণদের সঙ্গে আমাদের শাদা মনিবদের বোধ হয় ঝগড়া বেঁধে গিয়েছে!
—হাঁ, হাঁ···যত বেটা বুলেটওয়ালা, দেখছো না চলে যাচ্ছে। ওদের দেশের ম্-পুতু শহরে যুদ্ধ হচ্ছে!
—বোধহয়, আমাদের এখানকার কর্তাদেরও যেতে হবে।
বাতোয়ালার বৃদ্ধ পিতা সায় দিয়ে ওঠে, ইয়াবায়ো! আমাদের এই গাঁ আর নদী যেমন সত্যি, তেমনি সত্যি হবে তোমার কথা!
একজন বৃদ্ধ সর্দার প্রতিবাদ করে ওঠে,—এখানকার ফ্রেঞ্চ-
৬১