দূরে যে শব্দ হাসির মধ্যে শোনা যায় নি, ক্রমশ সেটা যেন আরো কাছে আসতে থাকে।
“কিন্তু আমরা যে এই বশ্যতা স্বীকার করে নিলাম, তাতে কি তারা আমাদের ওপর খুশী হলো? তাদের মন পেলাম না তাতেও। আমাদের আচার-অনুষ্ঠান তো সব বন্ধই করে দিয়েছে, বাপ-পিতামোর আচার-অনুষ্ঠান! কিন্তু তাতেও তারা সন্তুষ্ট নয়, তারা চায় তাদের আচার-অনুষ্ঠান আমাদের ঘাড়ে চাপাতে! যখন খুশী যা আদেশ দেবে, তা মানতেই হবে। হুকুম হলো টাকা-পয়সা নিয়ে “পাতারা” খেলতে পারবে না! আমাদের নাচ-গান শুনলে তারা চটে যায়, তাদের সামনে নাচগান চলবে না! তবে, হাঁ, যদি পয়সা দিই, তা হলে তারা অনুমতি দিতে পারে! অতএব, পয়সা দাও! অনবরত, খাজনা দাও, আর খাজনা দাও! তাদের সিন্দুক ভর্তি আর হয় না।
যদি এই হতভাগা শাদা জাতের লোকগুলোর মধ্যে কোন মতিস্থির থাকতো কিম্বা তাদের কথাবার্তার মধ্যে কোন বিচার–বুদ্ধি থাকতো, তা হলে না হয় কোন রকমে তাদের মেনে চলা যেতো। কিন্তু তাদের কথাবার্তা কিম্বা কাজ-কর্মের মধ্যে কোন সঙ্গতিই নেই। এই তো দু’ চাঁদ আগেকার ঘটনা, ঐ বুনো জানোয়ার, ঔরো, মদ খেয়ে নেশা করে তার ইয়াসীটাকে কুকুর–ঠেঙ্গানো ঠাঙ্গালো, এমন মার মারলে যে মেয়েটা হাড়-গোড় ভেঙ্গে তাল হয়ে পড়ে রইলো!
৬৬