পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

 বাতোয়ালার চোখ নেশায় লাল হয়েই ছিল, তার ওপর উত্তেজনায় মনে হয় যেন এখুনি রক্ত ফেটে পড়বে। রাগে কথা জড়িয়ে আসে তবুও জোর গলায় সবাইকে ডেকে বলে ওঠে···,

 “শাদা চামড়ারা অপদার্থ···আমাদের জন্যে এতটুকু দরদ তাদের নেই···তারা মনে করে আমরা সবাই মিথ্যুক···হাঁ, আমরা মিথ্যে কথা বলি কিন্তু আমাদের সেই মিথ্যে কারুর ক্ষতি করে না, কাউকে সর্বস্বান্ত না। কালে-ভদ্রে সত্যিকে একটু বাড়িয়ে বলতে হয়···তার জন্যে দু-চারটে মিথ্যে বলতে হয়, নইলে সত্যির স্বাদ থাকে না, ঝোলে নুন না দিলে কি ঝোলের কোন স্বাদ থাকে?”

 “কিন্তু শাদা চামড়ারা তো সেজন্যে মিথ্যে বলে না...তারা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যে বলে···তাদের সব মিথ্যে হলো ভেবে-চিন্তে তৈরী-করা জিনিস···তাদের স্বার্থ-সিদ্ধির জন্যে···

 “তাই তারা সব ব্যাপারে আমাদের ওপর টেক্কা দিতে পারে”

 “ওরা বলে, আমরা নিগার পরস্পর পরস্পরকে ঘেন্না করি, নিজেদের মধ্যে মারামারি করি···আর ওরা? ওদের কমাণ্ডার-গুলো আর ওদের বন্দুকওয়ালারা সব সময় গলা জড়াজড়ি করে থাকে নাকি? ওদের মধ্যে ওরা মারামারি করে না? আমরাই বা ওদের মতন করতে পারবো না কেন? গায়ের চামড়ার রঙ

৬৮