যখন শাদা লোকগুলো এ-দেশেতে পা দেয় নি, তখন তারা কেমন সুখে ছিল। এমন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটতে হতো না—দরকার মত একটুখানি খাটলেই চলে যেতো, তারপর খাও, দাও, স্ফুর্তি করো, ঘুমোও। মাঝে মাঝে কখনো কখনো লড়াই কাজিয়া করতে হতো। কিন্তু তাতে লাভ ছাড়া লোকসান ছিল না। আজও মনে পড়ে, তখন কি ধূম পড়ে যেতো নিহত শত্রুর দেহ ছিঁড়ে লিভার খাবার জন্যে, সবাই ছুটতো তার অংশের জন্যে, কেননা, শত্রুর যা কিছু সাহস তার লিভারের সঙ্গেই থাকে, তাই সেই কাঁচা লিভার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা সাহসও দেহের ভেতর রক্তের সঙ্গে মিশে যেতো···সে ছিল অতীত যুগের কথা, যখন শাদা লোকগুলো এদেশের মাটিতে পা দেয় নি।
আজ তারা শুধু ক্রীতদাস; তারা বুঝে নিয়েছে ঐ হৃদয়হীন শাদা জাতের কাছ থেকে তাদের আশা করবার কিছু নেই। শাদা লোকগুলো তাদের ঘরের মেয়েদের জোর করে দখল করে, ভোগ করে, আর তার ফলে, তাদের নিজেদের মধ্যেই বিভেদের সৃষ্টি হয়। তাদের ভোগ মিটে গেলে শাদা লোকগুলো তাদের কালো মেয়েমানুষগুলোকে পরিত্যাগ করে, তাদের গর্ভে যেসব ছেলেমেয়ে হয়, তাদের স্বীকার করে না। আর এই সব বেজন্মা ছেলেমেয়ে বড় হয়ে নিজেদের জাত-ভাইদেরই ঘৃণা করতে শেখে, তাদের বাপের শাদা চামড়া ছিল, এই গর্বে তারা নিজেদের
৭১