স্বজাতের সঙ্গে মেশে না। এইভাবে এই বেজন্মাগুলো সমাজের ভেতরে থেকে সমাজের পাপই বাড়িয়ে চলে, সবাইকে তারা ঘৃণা করে, হিংসা করে, তাদেরকেও সবাই তেমনি ঘৃণার চোখে দেখে। আল্সে, কুঁড়ে, বদমায়েস, এই বেজন্মাগুলো শুধু ব্যভিচারকেই বাড়িয়ে চলে।
বাতোয়ালার দম তখনো ফুরোয় নি।
সে আবার উঠে বলতে আরম্ভ করে, আর শাদা লোকগুলোর সঙ্গে যেসব শাদা চামড়াওয়ালা স্ত্রীলোকগুলো থাকে, তাদের কথা না বলাই ভাল। প্রথম-প্রথম আমরা মনে করতাম, তারা বুঝি একটা আলাদা জাতের মানুষ, আশ্চর্য কোন সৃষ্টি! দেবতার মতন তাই দূর থেকে তাদের ভয় করতাম, সম্মান দিতাম। আজ সে ভুল আমাদের ভেঙ্গে গিয়েছে! কালো নিগ্রো মেয়েকে যত সহজে পাওয়া যায়, তার চেয়ে সহজে পাওয়া যায় ঐ শাদা চামড়াওয়ালা স্ত্রীলোকগুলোকে···আমাদের মেয়েদের চেয়ে ঢের বেশী কামুক ওরা! তাদের যে–সব দোষ আছে, আমাদের কালো মেয়েদের তা নেই···কালো মেয়েরা তা জানে না পর্যন্ত! তবু···শাদা চামড়াওয়ালীরা চায়, আমরা সব সময় তাদের সমীহ করে চলি···”
বাতোয়ালার বক্তৃতা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা হাত তুলে ইঙ্গিত করতেই সব গোলমাল থেমে গেল, বুড়োর কথা শোনবার জন্যে সবাই একেবারে চুপ হয়ে গেলো। সেই
৭২