পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কথায় তা নিভে গেল। আবার উৎসবের আনন্দে সবাই প্রাণ খুলে হেসে উঠলো। বাতোয়ালা বৃদ্ধ পিতার ঝাপসা দৃষ্টিশক্তির তারিফ করতে করতে আব্‌সাঁথের বোতলগুলো এগিয়ে দিলো।

 দূরের শব্দ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মনে হয়, তাদের গাঁয়ের কাছ-বরাবর আওয়াজটা এগিয়ে আসছে। আরো কাছে এগিয়ে আসছে। পোয়াবা আর পাঙ্গাকৌরার রাস্তার মোড়ে যেন এসে পড়েছে। ক্রমশ আরো কাছে এগিয়ে আসছে, কমাণ্ডারের আস্তাবল যেখানে আছে, সেখান থেকে যেন শব্দটা আসছে। এইবার যেন বাম্বার পোল পেরিয়ে শব্দটা আরো কাছে এগিয়ে আসছে···এই দিকেই আসছে···

 এবারে আর শব্দ নয়।

 শব্দ মূর্তি ধরে সামনে এগিয়ে আসে। একদল তরুণ–তরুণী নাচতে নাচতে আর গাইতে গাইতে উৎসব–প্রাঙ্গণের দিকে এগিয়ে আসে।

 তাদের সর্বাঙ্গ নগ্ন। নগ্ন গা পা থেকে মুখ পর্যন্ত ভস্মের প্রলেপে শাদা করা হয়েছে। এই হলো তাদের রীতি, ধর্মের অনুশাসন।

 একদল গাইছে, আর তার তালে তালে আর একদল নাচছে। তারা সচরাচর যে ভাষায় কথা বলে, এই গানের ভাষা কিন্তু তা নয়। একটা বিচিত্র অনুনাসিক শব্দের মালা, কখনও বা গলার ভেতর থেকে নানা রকমের আওয়াজ বেরিয়ে

৭৪