পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আসছে। এই ভাষার নাম হলো শামালী, তাদের ধর্ম-কর্মের ভাষা। নাচতে নাচতে তারা যেন ভাবাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

 ভাদের দেখতে পেয়ে উৎসব–প্রাঙ্গণের বিরাট জনতা সমস্বরে এক বিপুল আওয়াজে অভিনন্দন করে উঠলো। সে বিপুল ধ্বনি বাম্বা আর পোম্বার চন্দ্রালোকিত তীর বেয়ে দূরে দূরান্তরে ছড়িয়ে পড়লো, সে-ধ্বনিতে হঠাৎ নদীর ধারের বক-পাখীদের ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় তারাও যেন চীৎকার করে প্রত্যাভিবাদন জানিয়ে উঠলো।

 হঠাৎ জনতার মধ্যে একটা তীব্র আনন্দের উত্তেজনা জেগে উঠলো। যোদ্ধারা তাদের বর্শা তুলে নিয়ে উঠে দাড়ালো। কুকুরগুলো চীৎকার করে ডেকে উঠলো, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কলরব করে উঠলো, মেয়েরা বিয়ার আর ‘কেনে’র মাদকতায় মাটীতে প। ঠুকে উল্লাসে চীৎকার করে উঠলো,

 “গান্‌জা—গান্‌জা—গান্‌জা—”

 সঙ্গে সঙ্গে লিংঘা গুলো থেকে গুরু-গুরু···গুর্–গুর্ আওয়াজ জেগে উঠলো।

 চোখের সামনে ভোজবাজীর মতন যেন সব শাদা হয়ে গেল। ভস্মমাখা কালো মেয়ের আর কালো ছেলের সর্বাঙ্গ আজ শাদা, শাদা চাঁদের আলো···তার মধ্যে কালো শুধু গাছগুলো···মাটী লেপে শাদা করা হয়েছে···চাঁদের আলো এসে সারা গাঁকে চূণকাম করে দিয়েছে··· শাদা ফিতের মতন চলে গিয়েছে

৭৫