পথগুলো···পোম্বা আর বাম্বার জল আজ গলানো চাঁদের আলোর মতন শাদা।
যোদ্ধারা যে-যার বর্শা তুলে নিয়ে বড় বড় টানে ঢালের আড়ালে অপেক্ষা করে থাকে···
এমন সময় দম্-দম্ করে বাজনা বেজে ওঠে···যোদ্ধারা লাফিয়ে বাম্বার দিকে এগিয়ে চলে···মাথার ওপরে ঢাল তুলে হাতের বর্শা ঘোরাতে ঘোরাতে উন্মাদ নৃত্যে তারা এগিয়ে চলে। কিছুদূর গিয়ে আবার তারা তেমনিভাবে নাচতে নাচতে ফিরে আসে। চীৎকার করতে করতে ফিরে আসে।
শুরু হয়ে যায় গান্জার নাচ। চারদিক থেকে বেজে ওঠে বাজনা···চারদিক থেকে ওঠে গান···সে সমবেত শব্দে যেন কেঁপে ওঠে চাঁদ।
এলোমেলো উল্লাসের মধ্যে একটা বন্দোবস্ত ঠিক করা হয়। কার পর কি হবে, তার একটা ক্রম নির্দিষ্ট হয়। সমস্ত খেলাধূলার ভার যাদের ওপর, তাদের নাম হলো মুকৌন্দজীইয়াংবা। তাদের দেখলেই বোঝা যায়, স্ফূর্তিতে ঝলমল করছে। তাদের পোষাকও আলাদা। মাথার চুলের সঙ্গে পাখীর লম্বা লম্বা রঙীন পালক গোঁজা; কোমরে, হাঁটুতে, হাতের কব্জীতে ঘণ্টা বাঁধা।
তাদের ভেতর থেকে তিনজন বেরিয়ে এসে একটা যুযুৎসু ধরণের নাচ নাচলো। হাতের সঙ্গে পা জড়িয়ে নানা রকমের কসরৎ দেখালো। দর্শকেরা উল্লাসে বাহবা দিয়ে উঠে।
৭৬