অদৃশ্য প্রেমিক তার সঙ্গিনীকে প্রত্যাখ্যান করে ফিরিয়ে দিয়েছে, তাকে ভোলাবার জন্যে আবার সে চেষ্টা করে।
ক্রমশ এইভাবে আসে পুরুষদের পালা। তখন চারদিকে জমে উঠেছে পরিপূর্ণ উন্মাদনা। যেদিকে চাও সেদিকে শুধু ঘর্মাক্ত মাংসপেশী আর তাণ্ডব আর্তনাদ। পায়ের তলায় মাটি যেন সে-উন্মাদ তাণ্ডবে ফেটে যাবে।
সঙ্গে সঙ্গে কি অট্টহাসি, কি চীৎকার। সেই অগণিত নর–নারীর মিলনে, বিয়ার আর কেনের প্রেরণায়, উল্লাসে আর নৃত্যে জেগে ওঠে উন্মাদ আত্মহারা কামনার চঞ্চলতা···
সামনে এগিয়ে আসে দশজন পুরুষ···প্রায় নগ্ন দেহ।
সেই দশজনের মধ্যে, সকলের দৃষ্টি গিয়ে পড়ে বিসিবিংগুইয়ের ওপর···সকলের চেয়ে সুগঠিত দেহ, সবচেয়ে সুন্দর। দুটো চোখ জ্বলছে, যেমন জ্বলে ওঠে রাত্তিরে বনের আগুন। প্রত্যেক মাংশপেশী পাথর দিয়ে তৈরী, আপনা থেকে যেন দুলে দুলে উঠছে। সরু কাঁচা বেতের মতন লিকলিকে দেহ নিয়ে সে লাফিয়ে ওঠে, দলের আর সবাইকে সে-ই চালিয়ে নিয়ে চলে।
তারা প্রত্যেকেই লাল–চন্দন আর তেল দিয়ে সারা দেহকে করেছে চিত্রিত। শরীরের মধ্যে যেখানে সুবিধা পেয়েছে সেই–খানেই ঝুলিয়েছে ঘণ্টা, এমন কি মাথায়–গোঁজা পালকের সঙ্গেও ঝুলিয়েছে ঘণ্টা। নড়তে গেলেই টুং টাং বেজে ওঠে দেহ।
গায়ের ওপর আঁকা রঙীন নক্সা ঘামে গলে যাচ্ছে···গা
৭৯