পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ デ এলিজিবেথ। গারিয়া কষ্টিয় উঠিলেন, “পিতঃ ! আমি একটা কথা জিজ্ঞাসা করিতে আইলাম অনুমতি হইলেই বলিতে পারি।” স্পৃিঙ্গর শুনিয়া মস্তক উন্নত করিয়া কহিতে ইঙ্গিত করিলেন। এলিজিবেথ বিনীত ভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “পিতঃ ! সে দিন স্মোলফ মহাশয় প্রস্থান সময়ে যখন তোমাকে কোন উপকার করিতে হইবে কি না এই কথা জিজ্ঞাসা করিলেন তখন তুমি বলিলে আমার কোন উপকার করিতে হইবেক না। তৎকালে এই কথা কহ। কি যথার্থ হইয়াছিল ? তোমার কি কোন বিষয়ে উপকার পাইবার অাবশ্যকতা ছিল না।” স্পৃিক্ষর কছিলেন, “ষ্ঠী, মিথ্যা নয়, তিনি আমার কোন উপকারই করিতে পারেন না।” এলিজিবেথ কহিলেন, “ তবে কি কাহাহইতেও তোমার অভিলাষ পুর্ণ হইতে পারে না?” স্পৃিঙ্গর উত্তর করিলেন,“ হ ! স্বয়ং ধৰ্ম্ম অবতীর্ণ ন হইলে আর কাহাদ্বারা হইতে পারে ন৷” এলিজিবেথ পুনৰ্ব্বার জিজ্ঞাসা করিলেন, “সেই ধৰ্ম্ম কোথায় দেখিতে পাত্তয়া যায় ?” স্পৃিঙ্গর উত্তর করিলেন, “বাছা ! পৃথিবীমণ্ডলে তাহাকে কখনও দেখিতে পাইবার অাশা নাই।” এই রূপ কথোপকথন শেষ হইলে পর তিনি পুৰ্ব্বাপেক্ষাও অধিক বিমর্শ ভাবে ভাবনায় মনোনিবেশ করিলেন । ţa ক্ষণকাল বিলম্বে এলিজিবেথ কিঞ্চিৎ ব্যাপকতা করিয়া কহিতে আরম্ভ করিলেন, “পিতঃ ! অামার আর একটা কথা শুন । আজি অামার জন্মদিন। জন্মাবধি গণনায় আজি আমার সপ্তদশ বর্ষ বয়ঃক্রম হইল। তোমাদিগের প্রসাদেই আমি অদ্যকার দিবসে ভূমিষ্ঠ হইয়াছি। ঈশ্বর যেমন । জগতের সৃষ্টি-কৰ্ত্তা, আমার পক্ষে তোমরাও সেই রূপ। অতএব আমার জীবন যদি তোমাদের কোন উপকারে