পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৮০

এলিজিবেথ। - අළු জন্য যে আমাকে তোমার উপযুক্ত ও মনোনীত পাত্ৰ ৰোধ । করিয়াছ, তাছাতেই আমাকে চরিতার্থ করা হইয়াছে { ফলে এ ব্যাপারহইতে তোমাকে বিচলিত করিতেও আমার কিছুমাত্র বাসন নাই। এক্ষণে তোমার নিকট স্পষ্টরূপে প্রতিজ্ঞ করিয়া কহিতেছি এ বিষয়ে যে যে উপায় আমাদ্বারা হইতে পরিবেক, আমি যথাসাধ্য তাহাতে যত্নের জুটি করিব না, আগামি রবিবার দিবস এ বিষয়ে যে সকল পরামর্শ দিতে হইবেক অামি তাহ। লিখিয়া তোমার হস্তে সমপর্ণ করিব।” এই রূপ কথোপকথনের পর, আগামি রবিবারে পুনৰ্ব্বার ভজনালয়ে পরস্পর সাক্ষাৎ হইবেক এই প্রত্যাশায় উভয়েই প্রস্থান করিলেন । * রবিবার উপস্থিত হইল। এলিজিবেথ পরমানন্দে মাতার সহিত সেইমকার ভজনালয়ে চলিলেন। তথায় উপস্থিত হইয়। ক্লত ক্ষণে স্মোলফের সহিত সাক্ষাৎ হইবেক, কত ক্ষণে আপন যাত্রার সুবিধার জন্য তাহার নিকট লিখিত আবশ্যক উপদেশ সকল গ্রহণ করিবেন, এই চিন্তাতেই অধৈর্য্য হইতে লাগিলেন । রীতিমত উপাসনার কার্য্য সকল ক্রমে ক্রমে সমাহিত হইল, তথাপি স্মোলফের দেখা নাই। এলিজিবেথ মহাব্যাকুল হইতে লাগিলেন, এদিগে ফেডোর প্রস্থানিক উপাসনা করিতেছেন এই অবকাশে এলিজিবেথ এক বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ ই গো ! অণপনি কি আজি ম্মোলফ মহাশয়কে এই ভজনালয়ে উপস্থিত হইতে দেখিয়াছিলেন ?” বৃদ্ধ। উত্তর করিলেন, “ আজি তাছাকে এখানে দেখিবার বিষয় কি ? তিনি যে দুই দিবস হুইল তবলস্কে চলিয়া গিয়াছেন।” বৃদ্ধার মুখে এই কথা শুনিবামাত্র এলিজিবেথের ষে প্রকার নৈরাশ্য উৎপন্ন হইল তাহা অার বক্তব্য নহে । তাহার এমনি বোধ হইল যেন অভীষ্ট বিষয়টী তাহার