紛bー অঙ্গুরীয় বিনিময়। অভু্যদার-প্রকৃতি না হইলে কখন মহারাষ্ট্রীয়দিগের অন্তঃকরণে প্রবল স্বদেশহিতৈষিত উদ্রিক্ত করিতে পারিতেন না। কিন্তু তাহাকেও মধ্যে মধ্যে কৌটিল্য অবলম্বন করিতে হইত। এই জন্য তাছার চরিত্র-লেখক গ্রন্থকার অনেকেই এই মহাত্মাকে কুটিল স্বভাব বলিয়। বর্ণন করিয়া গিয়াছেন। সে যtহtহউক, তিনি এইক্ষণে বিবেচনা করিলেন আমার পক্ষে কি দিল্লীশ্বর, কি বিজয়পুর-বাদসাহ, উভয়ই সমান । একোদ্যমে ছুই জনের সহিত যুদ্ধ করিয়া কখনই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিব না ! অতএব কথন বা ইহার কখন বা উহার পক্ষতা অবলম্বন করিয়া ক্রমে ক্রমে নিজ বলবৰ্দ্ধন করাই সদযুক্তি ; আর হয় ত, অরেঞ্জেব তুষ্ট হইলে পরিণামে রোলিমার লাভ হইলেও হইতে পারে। মহারাষ্ট্রপতি মনোমধ্যে এই সকল অনুধাবন করিয়৷ নিজ সম্মতি প্রকাশ পুরঃসর কিঞ্চিৎ বিলম্বে কছিলেন, “মহারাজ ! আপনি যেমন অনুমতি করিবেন আমি সেই রূপই করিব । কিন্তু আমার সৈন্তগণ বাদগাহের কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইলে বাদলtহ নিজকোষ হইতে তাহাদিগের ভূতি প্রদান না করিয়৷ তৎকর্তৃক ধিতিভূমির নির্দিষ্ট করের চোৎ অর্থাৎ চতুর্থাংশ প্রদানের অনুমতি করিলেই সৎপরামর্শ হয়। কারণ তাহ হইলে তাহাকে আপন ধনাগার হইতেও কিছু দিতে হইবে না, আর সৈন্তগণও বিশিষ্ট যত্ন করিয়া অধিক ভূমি জয় করিবে” । রাজা জয়সিংহ এই কথার ভাব সম্পূর্ণ বুঝিতে পারিলেন কি ন। বলা যায় না। ফলতঃ শিবঙ্গী এবং তাহার উত্তরাধিকারী মহারাষ্ট্রীয় রাজার ঐ চৌৎ আদায়ের নামেই ক্রমে ক্রমে প্রায় সমুদায় ভারত-ভূমির উপর আপনাদিগের কর্তৃত্ব প্রচার করিয়াছিলেন । যাহাঁহউক, জয়পুরপতি তখনই স্বীকার করিয়া এই সকল নিয়মানুযায়ী সন্ধিপত্র লিখাইলেন, এবং ৰাজদাহের সন্মতির নিমিত্ত তাহার অনুলিপি প্রেরণ করিয়া অচিরাৎ পিৰজী সমভিৰ্যাহারে সসৈন্ত বিজয়পুর প্রদেশাভিমুখে যাত্রা করিলেন।
পাতা:ঐতিহাসিক উপন্যাস.djvu/৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।