অঙ্গুরীয় বিনিময়। Wり》 থাকেন। কিন্তু যে দুৰ্ব্বিষহ শোক সন্তাপ অন্তঃকরণকে স্নেহ-বর্জিত করে, বাহাতে একজনের দোষে স্বজনমাত্রের প্রতি শ্রদ্ধা হ্রাস হয়, সেই দুঃখ দাবাগ্নি নিৰ্ব্বাণে কালও কুষ্টিত শক্তি হইয়া থাকে। ঐ অনল, নীরস জীবন বৃক্ষকে একেবারে দগ্ধ করিয়া নিঃশেষ হয়, অথবা স্নেহরস বর্ষণে সক্ষম ব্যক্তি বিশেষ দ্বার। কিঞ্চিৎ সত্ত্বন প্রাপ্ত হইলেই কিছু মন্দ-তেজ হইতে
- ीtcद्र ।
রোলিনীর নিজ পিত্তার ক্ৰোধ-ভাজন হইয়। তাছার নিকটে অবস্থান প্রাপ্ত হইলে, সাজtহানের ঐরূপ সহচরী লাভ হইল। আরঞ্জেব-পুত্রী উত্তম প্রকৃতি ছিলেন । কিন্তু সম্পদের কেমন দোষ । রেসিনারা অতুল ঐশ্বৰ্য্যের ঈশ্বর পিতার প্রিয়তম হুষ্টয়া প্রথমাবস্থায় আমোদ প্রমোদেই কালাতিপাত করিয়াছিলেন। তখন দুঃখ যে কি পদার্থ ইহা জানিতেন না বলিয়াই পিতামহের দুঃখে সমদু:খত। প্রকাশ করিতে পারেন নাই। উদার-চরিত্র শিবঙ্গীর সহবাসে র্তাহার মনের সেই ভাবটি দূর হইয়াছিল। শিবাজী বাক্য দ্বারা কথন রোসিনারীকে হিতাহিত বিবেচনার শিক্ষা দেন নাই বটে, কিন্তু স্বয়ং /একাগ্রমনে কৰ্ত্তব্যtছুষ্ঠান করিতেন বলিয়াই তৎপ্রতি প্রণয়-বদ্ধ বাদসহপুত্রী তাদৃশ জ্ঞানলাভে সমর্থ হইয়াছিলেন। কাৰ্য্য দ্বারায় যে উপদেশ হয়, তৰ্জ্জসিত সংস্কারের প্রায় অন্তথাভাব হয় না । অতএব,পরমেশ্বর সমুষ্য জীবন কেবল হাসিয়া থেলিয়া আমোদ প্রমোদে কাটাইবার জন্য স্বল্প করেন নাই, এই ভাব রেসিনারার অন্তঃকরণে সেই মহাপুরুষের সাহচর্য্যে দৃঢ়ৰূপে সংলগ্ন হইয়াছিল। তিনি বুঝিয়াছিলেন যে, জগতে এমত পদার্থও আছে যাহার জন্ত জীবন এবং জীবনের সমুদায় মুখ পরিত্যজ্য হইতে পারে । শিবাজীর সাহচর্য্যে রোলিনীরার মানসিক ভাব সকল পরিবৰ্ত্তিত হওয়াতে তিনি নানা ইঞ্জিয়-মুখ-নিধান অস্তঃপুরের অন্তাস্থ্যভাগে বাস অপেক্ষা তাহারই একদেশে পিতামহ সন্নিধানে অন্ত-সঙ্গ-বর্জিত হইয়া কালযাপন করিতে প্রতিপূর্বক অভিলাষিণী হইয়াছিলেন। প্রথমতঃ সাজাহান তাহাকে আরঞ্জেবের কন্যা বলিয়। কিঞ্চিৎ ঘৃণা করিয়াছিলেন। কিন্তু রোলিনার আপনার বিনীত ব্যবহার,শীলতা ও মধুরালাপ দ্বারা তাহার দুঃখ শৈথিল্যের স্বত্ব করিয়৷ পিতামহকে পরম পরিতুষ্ট করিলেন। সাজাহান নিজ আধিপত্য