চিন্তু ধর্ম্মাত্মার অস্তঃকরণে জগদীশ্বর স্বয়ং অধিষ্ঠিত থাকেন, সুতরাং সৃষ্ট প্রাণিমাত্রের প্রতি তাঁহার হিংসা দ্বেষ ক্রোধাদি ভাব অপনীত হইয়া। সর্ব্বতোভাবে বিশ্বাস জন্মে। দেথ, পথিক কুরঙ্গ শাবককে মোচন করিয়া অবধি সেই। ভয়াবহ গহনবনকে প্রার্থনীয় পুণ্যতীর্থ বোধ করিয়া স্থানান্তরে রাত্রি যাপনের মানস পরিত্যাগ করিলেন এবং পাথেয় তণ্ডুলের কিয়দংশ হইতে যথাকথঞ্চিরূপে অন্ন প্রস্তুত করিখা ফুৰাশাস্তি করত। অতীব তৃপ্তিলাভ করিলেন।
রাত্রি উপস্থিত হইল। সুধাংশুমণ্ডলনিঃসৃত জোৎস্নারাশি মন মন্দ সমীরণে সঞ্চালিত মহীরূহগণ কর্তৃক সহস্র সহস্র খণ্ডে বিকীর্ণ হইয়া নৃত্য কারী বন দেবতাগণের অলৌকিক অঙ্গ প্রভারহ্যায় প্রতীয়মান হইতে লাগিল, এবং ওপত্র পতনের মর মর শব্দ, নিৰ্বরের ঝর ঝর ধ্বনি ও রাত্রিচর পশুগণের গভীর নিনাদ সমুদায় মিলিত হওয়াতে বোধ হইল যেন জগদ্যন্ত্র বাদ্যের মধুর লয়সঙ্গতি হইতেছে এবং উহারই মোহিনীশক্তি প্রভাবে যাবতীয় জীব একে বারে মুঙ-শক্তি হইয়াছে।
পথিক বৃক্ষমূলে পণশধ্যায় শয়ন করিয়া পথ পরিশ্রম বশত: শীঘই নিদ্রাভিভূত হইলেন। কিন্তু দিবাভাগে যে সমস্ত ঘটনা ঘাটিয়াছিল তারা চিত্ত-চাঞ্চল্যের প্রাদুর্ভাব হওয়াতে তিনি নিদ্রাবস্থায় একটী আশ্চর্য্য স্বপ্ন দৰ্শন করিলেন। তিনি দেখিলেন, মৃগাঙ্কমওল হইতে জ্যোতির্ম্ময় দেব মূর্ত্তি অবতীর্ণ হইয়। ঊাহার সম্মুখীন হইলেন। পরে ক্ষণ কাল প্লাহার প্রতি সহাপ্তাননে এবং মুমিন্ধ নয়নে সৃষ্টি করিয়া কহিলেন -'রে বৎস! তুমি অধ্য অতি মুকুত করিয়াছ, অতএব ঘিনি নিকৃষ্ট উৎকৃষ্ট সমস্ত জীবকে সমভাবে মুখ দুঃখভাজন করিয়া সৃষ্ট করিয়াছেন, সেই পরৎপর পরমাত্মা তোমার প্রতি তুষ্ট হইয়াছেন,এবং র্তাহার অসুগ্রহ বশাৎ তুমি অচিরে গজনন নগরের অধিপতি হইবে, কিন্তু দেখিও, যেন প্রভুত্বমদে মত্ত হইয়া নিজ নৈসর্গিক দয়া দাক্ষিণ্য বিবর্জিত হইও না,আদ্য পণ্ডযোনির প্রতি যাদৃশ সদয়তা। প্রকাশ করিয়াছ, যাবজ্জীবন নরলোকের প্রতিও তাদৃশ ব্যবহার করিও।”
এই বলিয়া। দেবমূর্তি অৱস্থিত হইলে পথিকের নিদ্রাভঙ্গ হইল। লেজেন্মীলন করিয়া দেখেন নিশ অবসান হয় নাই। গগনমণ্ডলে নক্ষত্র