অঙ্গুরীয় বিনিময় । ፵፭» রোসিনারা এইরূপ চিন্তা করিতেছেন এই অবসরে সাজাহান একজন দাসীর একখালি পরিধেয় বস্ত্র স্বহস্তে আনিয়া উপস্থিত করিলেন এবং কহিলেন “আর বিলম্বে প্রয়োজন নাই, শীঘ্র এই পরিচ্ছদ ধারণ কর এবং ছদ্মবেশে বহির্গত হইয়া যাও, আমাকে স্মরণ রাখিও এবং নিশ্চয় জানিও যে, মৃত্যুকাল পর্য্যস্ত তোমার সদাচরণ আমার অন্তঃকরণ মধ্যে দেদীপ্যমান থাকিবে”। এই বলিতে বলিতে বৃদ্ধের অক্ষিদ্বয় সজল এবং বচন গদগদস্বর হইল। তিনি আর অধিক বলিতে পারিলেন না । রোলিনার পিতামহের প্রদত্ত দাসীবেশট একবার হস্তে লইয়া পুনৰ্ব্বার রাথিয় দিলেন, এবং মৃদুস্বরে কছিলেন “আমার যাওয়া কি fತ হয় ?" সাজাহান ব্যগ্র হইয়া উত্তর করিলেন, “কিলে অনুচিত ?—সে ব্যক্তি তোমার প্রণয়বদ্ধ হইয়াছে বলিয়াই এ পৰ্য্যন্ত আসিয়া ঘোর বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছে ; সে হিন্দু, তোমাকে বিৰাহ করিলে তাহীর জাতি নাশ হইবে তাহাও সে স্বীকার করিতেছে ; এখানে তুমি এমন কি মুখে আছে যে, যাইতে অনিচ্ছা হয়।” --"অনিচ্ছা ! অামার মনোমধ্যে যাইবার ইচ্ছ। যে কি পৰ্য্যস্ত বলবতী হুইয়াছে তাছা বক্তব্য নহে, অকৰ্ত্তব্য বোধ হইলেও মন নিবারিত হইতেছে না, কিন্তু এইক্ষণেই আপনি যtছ। বলিলেন তাহীতেই সেই ইচ্ছার কিঞ্চিৎ হ্রাস হইতেছে, কারণ, বিবেচনা করুন, যদি পিতা স্বেচ্ছাপূৰ্ব্বক তাহার সহিত বিবাহ দিতেন, তবে পিতাই নিজ জামাতার প্রধান সহায় হইতেন, সুতরাং মহারাষ্ট্রপতির স্বজাতীয়ের বিরক্ত হইলেও তাহার। তাছার কোন অনিষ্ট করিতে পারিত না । কিন্তু আমি স্বেচ্ছাচারিণী হইয় তাহার সহিত মিলিত হইলে দিল্লীশ্বর এবং মহারাষ্ট্র জাতি উভয়কেই শিবাজীর শক্ৰ করা হইবে, মুতরাং আমা হইতেই যেই প্রণয়াম্পদের সমূহ বিপদ ঘটিবে, অতএব জানিয়! শুনিয়া এমত কৰ্ম্ম কেমন করিয়t করিব।” সাজাহান এবং ঐ বারবনিতা উভয়ের কেহই জানিত না যে, যথার্থ প্রীতি কি অদ্ভুত পদার্থ। উছার আবির্ভাবে মন্থয্যের মনঃ একেবারে স্বার্থ শূন্ত হয়। অতএব তাহাদিগের কেহই রোলিনারায় ৰাক্য সম্পূর্ণরূপে হৃদগত করিতে পারিলেন ন। না পারুন, কিন্তু বৃদ্ধ বাদসহি তাঁহার যুক্তির ঔদার্থ্য উপলব্ধি করিয়া কছিলেন—“তুমি বুদ্ধিমতী বাধা বিবেচনাসিদ্ধ হয়, কয়—আমি ভাৰিয়া
পাতা:ঐতিহাসিক উপন্যাস.djvu/৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।