পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৪৪

Sos पेडिश्ानिक क्रिए । প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন ; তাহাতেও সেনরাজবংশের বিবরণ লিখিত আছে। এই প্রশস্তি স্বনামখ্যাত কবিকুলচুড়ামণি উমাপতিধরের রচনাগৌরবে সমলস্কৃত হইয়া, নানা ঐতিহাসিক তথ্যের সন্ধান প্ৰদান করিতেছে। বিজয়সেনের “প্রশস্তি” বল্লালসেনের “দানসাগর”, হলায়ুধের “ব্ৰাহ্মণসৰ্ব্বস্ব”, লক্ষ্মণসেন ও তদাত্মজগণের বিবিধ “তাম্রশাসন শ্লোক” এই বিখ্যাত রাজবংশকে “চন্দ্ৰবংশীয় ক্ষত্ৰিয় কুলোৎপন্ন” বলিয়াই কীৰ্ত্তন করিতেছে। এই বংশ কর্ণাটি প্রদেশ হইতে বঙ্গদেশে উপনীত হইবার প্রমাণ কোন কোন প্ৰশস্তিতে দেখিতে পাওয়া যায়। যে সময়ে এই রাজবংশ ধীরে ধীরে অঙ্গব্যঙ্গকলিঙ্গে অধিকার বিস্তার করিয়া, ব্ৰাহ্মণ্যধৰ্ম্মের পুনঃসংস্থাপন কাৰ্য্যে বৌদ্ধ-বিপ্লববিধ্বস্ত বঙ্গভূমির গ্রাম নগরে ব্ৰাহ্মণ প্ৰতিষ্ঠায় পুনরায় সংস্কৃত সাহিত্যের সমুন্নতি সাধিত করাইয়া, জ্ঞানগৌরবে বাঙ্গালীর নাম ভারতবর্ষের সকল প্রদেশে সুপরিচিত হইবার সূত্রপাত করিতেছিল, সে সময় বাঙ্গালার ইতিহাসের সবিশেষ শিক্ষাপ্ৰদ কল্যাণ-যুগ। এই যুগের ইতিহাস না থাকিলেও ইতিহাস সংকলনের উপযোগী যে সকল উপকরণ:রাশি ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইয়া রহিয়াছে, তাহার যথোপযুক্ত অনুসন্ধান ও আলোচনা প্ৰবৰ্ত্তিত হওয়া আবশ্যক। বল্লালসেনের “দ্যানসাগর” মুদ্রিত ও প্ৰকাশিত হইতেছে ; হলীয়ুধের “ব্রাহ্মণসৰ্ব্বস্ব” বটতলার বিকৃত কলেবরে অপাঠ্য হইয়া রহিয়াছে ; “সদুক্তিকর্ণামৃত” অদ্যাপি মুদ্রাযন্ত্রের মুখ দর্শন করে নাই। প্রশস্তিনিচয় সুসংস্কৃত হইয়া একত্র পুনমুদ্রিত হইবার প্রয়োজন থাকিতেও, বঙ্গীয় সাহিত্য সেবকগণ তৎপ্ৰতি উদাসীন হইয়া রহিয়াছেন। এই সকল উপকরণ সুধীসমাজে সম্যকরূপে প্রচারিত ও সমালোচিত হইলে, বাঙ্গলার ইতিহাসের এই গৌরবোজ্জ্বল পুণ্যযুগের নানা তথ্য পুনরায় বঙ্গবাসীর নিকট সুপরিচিত হইতে পরিবে । শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয়।