পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎশেঠ। Տ ԳՎ» প্ৰতিপত্তি বাড়িতে লাগিল। রাজা, জমিদার, ব্যবসায়ী, মহাজন। সকলের সহিতেই তাহার পরিচয় হইল, ফতেচাদ পূর্ব হইতেই দিল্লীর দরবারে পরিচিত ছিলেন, এক্ষণে তঁহাদের সর্বশ্রেষ্ঠ গদীর অধ্যক্ষ হওয়ায় বাদাসাহের দরবারে তাহার সম্মান দিন দিন বদ্ধিত হইতে লাগিল, বাদশাহের নিকট তাঁহার কিরূপু প্রতিপত্তি হইয়া উঠিছিল নিম্নলিখিত গল্প হইতে তাহা বেশ বুঝা যাইবে । ) নবাব মুর্শিদকুলী খাঁ চিরদিনই কাৰ্য্যদক্ষ কৰ্ম্মচারী বলিয়া ভারতে বিখ্যাত ছিলেন। সেই জন্য বাদশাহ দরবারে তাহার সম্মান ও প্ৰতিপত্তির অভাব ছিল না। কিন্তু জগৎশেঠ ফতেচাদ বাদসহ মহম্মদ শাহের অত্যন্ত প্ৰিয় হইয়া উঠেন, এই রূপ কথিত আছে যে, এক সময়ে সম্রাট কোন কারণে নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়ায় তাহাকে সিংহাসনচ্যুত করিতে ইচ্ছা! করেন, এবং ফতেচাদকেই উক্ত পদের উপযুক্ত ব্যক্তি বলিয়া মনে করিয়াছিলেন। বাদশাহ আপনার মনের ভাব ফতোর্চাদের নিকট ব্যক্ত করিলে, ফতেচাদ বাদশাহকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়া কৃতজ্ঞতা পরিপূর্ণ হৃদয়ে উত্তর করিলেন যে,-“শেঠেরা বহুদিন হইতে নবাব মুর্শিদকুলী খ্যার অনুগ্রহ পাত্ৰ হইয়া আসিতেছে, তাহারই অনুগ্ৰহ-কণা লাভ করিয়া স্বৰ্গীয় শেঠ মাণিকচাঁদ বাঙ্গালার সর্বশ্রেষ্ঠ মহাজন হইয়াছিলেন, এবং একমাত্র তাহারই অনুকম্পায় বাদশাহ, দরবারে শেঠবংশের অচিন্তনীয় সম্মান ও প্রতিপত্তি হইয়াছে, যাহার অনুগ্রহে আমরা মহানুভব শাহানশাহ বাদশাহগণের প্রসাদাভাজন হইয়াছি, তঁহাকে সিংহাসনচ্যুত দর্শন করা একেত আমাদের পক্ষে অসীম কষ্টকর, তাহার পর আবার যদি সেই সিংহাসনে তঁহারই প্ৰতিপালিত আমরা উপবিষ্ট হই, তাহা হইলে আমাদের সমান অকৃতজ্ঞ জগতে আর দ্বিতীয় দেখা যাইবে না। যে সিংহাসনে নবাব মুর্শিদকুলী খাঁ উপবিষ্ট হইয়াছেন, সে সিংহাসনের উপযুক্ত আমি কদাচ হইতে পারি না। বরঞ্চ উক্ত সিংহাসনে আরোহণ করিলে আমাকে প্রত্যব্যয়গ্ৰস্ত হইতে হইবে। বাদশাহের প্রসাদ প্রত্যাখ্যান করিলাম বলিয়া বাদশাহ আমার কোন অপরাধ গ্রহণ করিবেন না। : অধিকন্তু আমার এই নিবেদন যে, বাদশাহের যে প্রসাদ বলে নবাব মুর্শিদকুলী,