পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রণজিৎ সিংহ ও ইংরাজ । RdN : ধূমরাশি সকলই আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে মহারাজ ও তাহার মহিষীগণ ও দাসীগণের দেহসকল ভস্মরাশিতে পৰ্যবসিত হইল। এইরূপে রণজিতের জীবনলীলার অবসান হইল। অশিক্ষিত ও কুরূপ হইয়াও তিনি।” একমাত্র নিজের প্রতিভাবলে চল্লিশ বৎসর বয়ঃক্রমের পুৰ্ব্বেই সমস্ত পঞ্জাবের একাধীশ্বর হইয়াবেছিলেন ও জীবনের শেষ মুহূৰ্ত্ত, পৰ্য্যন্ত স্বাধিপত্যে রাজ্যশাসন করিয়া গিয়াছেন । মৃত্যুকালে তঁহার বয়ঃক্রম আটান্ন বৎসর হইয়াছিল এবং যখন তিনি মাতার আধিপত্য দূরে পরিহার করিয়া আপনার বাহুবলে রাজপদ লাভের জন্য দণ্ডায়মান হন, তখন তঁহার বয়স সপ্তদশ বৎসর মাত্র। সেই বৎসর তাহার জন্মদিনের পূর্ব পর্যন্ত তিনি মাতার অধীন ছিলেন। র্তাহার মাতা দেওয়ান মহাশয়ের অত্যন্ত বাধ্য ছিলেন । রণজিৎ লেখাপড়া কিছুই জানিতেন না এবং সে সময়ের সকল দোষই তাহাকে অধিকার করিয়াছিল। ইহা ব্যতীত তঁহার এক চক্ষু ও কুৎসিত রূপ দেখিয়া কেহই তঁহার অন্তর্নিহিত প্ৰতিভা ও দৃঢ় স্বভাবের পরিচয় পায় নাই । কিন্তু সপ্তদশ বর্ষ র্তাহাদিগের বংশের বিষম সময়। ঐ বয়সে র্তাহার পিতা ও মাতার অধীনতা ছেদন করিয়া তাহার হত্যা সাধন করিয়াছিলেন । রণজিৎও তাঁহাই করিলেন । ঐ বয়সে তিনিও স্বাধীনতা গ্ৰহণ করেন । মাতা ও তাহার দেওয়ান মহাশয়ের হত্যা সংসাধিত হইল, এবং লাহোর উহার অলস শাসনকৰ্ত্তাদিগের হস্ত হইতে কাড়িয়া লওয়া হইল। তাহার অস্তিত্ব সুদূর কলিকাতা স্থ ভারতগাবৰ্ণমেণ্টের গোচর হুইবার পূৰ্ব্বেই তিনি পঞ্জাবের প্রধান রাজা হইয়া উঠিয়াছিলেন। পাশ্ববৰ্ত্তী সকল রাজন্য বৰ্গই তঁহাকে ভয় ও সন্মান করিত। বোধ হয় তাহার কুরূপের ক্ষতিপুরণ স্বরূপেই তিনি স্বভাবতঃই দৃঢ়কায়, অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও অস্বাভাবিক স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন ছিলেন। তাহার শত্রুদিগের মধ্যে অনেকে হয়ত যুদ্ধক্ষেত্রে তঁহাকে চাতুৰ্য্যে, শঠতায় ও ক্ষমতায় ছাড়াইয়া যাইতে পারিত,কিন্তু রাজনৈতিক বুদ্ধিতে ও উদ্দেশ্যের দৃঢ়তায় তিনি তাহাদিগের সকলের অপেক্ষা অনেক উচ্চ স্থান অধিকার করিতেন। পঞ্জাবের অন্যান্য রাজন্যবর্গের এই সকল গুণের অভাবেই রণজিৎ তাহাদিগের অধীশ্বর হইয়া