পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VVV ঐতিহাসিক চিত্ৰ । ক্ৰমে ঘাটের ধারে উপস্থিত হয়। ফকীর কিম্বা মানতকারী তীর হইতে মানসিক পশু পক্ষীকে হাতে ধরিলে কুম্ভীরগুলি তাহাদিগকে আস্তে আস্তে আসিয়া হাত হইতে উঠাইয়া লইয়া জল মধ্যে নিমগ্ন হয়। কুম্ভীরগুলির আকার দেখিলেই মনে ভয়ের সঞ্চার হয় বটে, কিন্তু সেগুলি কখনও কাহারও কোন অনিষ্ট করে নাই । BB DDD DDDS SBDBDBSBBDD D D BBB guDuD BBD অন্যান্য দীঘির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকের বিশ্বাস খাঞ্জালী সাহেব ৩৬০টি মসজিদ ও ৩৬০টী দীঘি খনন করিয়াছিলেন । খাঞ্জালী সাহেবের অন্যতম কীৰ্ত্তি দুইটী সুপ্ৰশস্ত পাকা রাস্তা । একটী বাগেরহাটের উত্তর নদীর তীর হইতে ষাট গম্বুজ গৰ্য্যন্ত ও অন্যটা সুন্দরবন হইতে চট্টগ্রাম পৰ্যন্ত বিস্তৃত ছিল। চট্টগ্রামের এক প্ৰসিদ্ধ ফকীরের সহিত দেখা করিবার জন্যই নাকি খাঞ্জালী সাহেব এই রাস্তা প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন । ইহা ২০ হাত চওড়া ছিল। এখনও বহুদূৱ পৰ্যন্ত ইহার কিছু কিছু চিহ্ন পাওয়া যায়। মসজিদ ও দীঘিগুলির কিঞ্চিৎ দূরেই নদীর তীরে খাঞ্জালী সাহেবের প্রসিদ্ধ “বাগের” চিহ্ন দৃষ্ট হয়। এই বাগবাটীর আয়তন নুনিধিক ২শত বিঘা ছিল। বাগের চতুর্দিকেই ইষ্টক প্রাচীরের চিহ্ন দেখা যায়। বৎসরের সকল সময়েই বাগানের নানাজাতীয় বৃক্ষ সুগন্ধি ফুল ও সুমিষ্ট ফলভারে অবনত থাকিত । ধাৰ্ম্মিক খাঞ্জালী সাহেব নিজহস্তে এই ফল ও ফুল দীন, দুঃখী, আতুর, অভ্যাগত সমূহের মধ্যে বিতরণ করিয়া অপাের আনন্দ অনুভব করিতেন। কিন্তু হায়! কালের কঠোর অত্যাচারে সে বাগের শেষ চিহ্ন পৰ্যন্তও লুপ্ত হইতে বসিয়াছে। বাগের একদিকে একটী দীঘির গভীর খাত দৃষ্ট হয়। এখন উহাতে, জল নাই বলিলেও চলে, যাহা একটু আছে তাহাও ধাপদলে। আচ্ছাদিত, ব্যবহারে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। অন্যদিকে বহুস্থান ব্যাপিয়া একটা ইষ্টকন্তুপ পড়িয়া আছে, লোকে এ স্তুপকে খাঞ্জালী সাহেবের গ্ৰীষ্মাবাসের ভগ্নাবশেষ বলিয়া নির্দেশ করে। এই বাগের মধ্যেই খাঞ্জালী সাহেব এক হাট বসাইয়াছিলেন, সে রাগ নাই। কিন্তু হাট এখনও আছে। সপ্তাহে দুইদিন এই হাট বসিয়া থাকে। বাগের মধ্যে বসিত বলিয়া সাধারণ লোকে এই হাটকে ‘বাগের