পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সজীব বুদ্ধ । Rసా মহাযান পন্থা অনেক দিন হইতে তিব্বতে প্ৰবেশ লাভ করিলেও ইহা সামান্য আকারে বিদ্যমান ছিল । লাসা নগরীর প্রতিষ্ঠাতা রাজা স্ৰংসান গাম্পোর রাজত্বকালে বৌদ্ধধৰ্ম্ম তিব্বতে প্ৰাধান্য লাভ করিতে আরম্ভ করে। উক্ত রাজা স্বীয় মন্ত্রী থুনি সমভটাকে বৌদ্ধশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন ও অনুবাদের জন্য ভারতবর্ষে প্রেরণ করিয়াছিলেন। সামভটাই তিব্বতীয় বর্ণমালার সৃষ্টিকৰ্ত্তা। তাঁহাদের কত্ত্বক তিব্বতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রচার আরব্ধ হওয়ায় গম্পে অবলোকিতেশ্বরের ও সামভটা মঞ্জুশ্ৰীীর অবতার বলিয়া পূজিত হইতেন। এই সময় হইতে তিব্বতে সজীব-বুদ্ধবাদের প্রচার আরম্ভ হয়। গম্পে রাজার পরে আবার তিব্বতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের হীনাবস্থা ঘটে । অৰ্দ্ধশতাব্দী পরে রাজা কার সংসান আবার ভাবতবৰ্ষ হইতে বৌদ্ধ পণ্ডিতগণকে আহবান করিয়া ইহার সংস্কারে প্রবৃত্ত হন। তাহার পর আবার ইহা মন্দীভূত হইতে আরব্ধ হয়। অবশেষে খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীতে পণ্ডিত অতীশ তিব্বতে গমন করিয়া মহাযান প্রথার প্রাধান্য বিস্তার করেন। ইহার পর হইতে ক্রমে তিব্বতে বৌদ্ধধৰ্ম্ম বদ্ধমূল হইতে আরব্ধ হয়, এবং নানা স্থানে মঠ স্থাপিত হইয়া লামাগণের আবাসভূমি হইয়া উঠে। খৃষ্টীয় ত্ৰয়োদশ শতাব্দীতে সুপ্ৰসিদ্ধ জঙ্গিস খাঁর পৌত্র পরাক্রান্ত কুবলে খা যৎকালে চীন সাম্রাজ্যের একাধিপত্য ভোগ করিতেছিলেন, সেই সময়ে তিনি তিব্বতের লামা কর্তৃক বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন। তৎসুত্রে তিনি শাক্য মঠের লামাকে বৌদ্ধ মঠসমূহের নেতা ও তিব্বতের অধিপতি বলিয়া; প্রচার করেন । এই সময় হইতে তিব্বতের সহিত চীন সাম্রাজ্যের সম্বন্ধ স্থাপিত হয়। খৃষ্টীয় চতুৰ্দশ শতাব্দীতে সংকপা নামে তিব্বতের প্রধান ধৰ্ম্মসংস্কারকের আবির্ভাব হয়। তিনি তিব্বতীয় বৌদ্ধধৰ্ম্মের আমূল সংস্কার সাধন করিয়াছিলেন। সংকপা সংস্কারকরূপে আবিভূতি হইলেও শাক্য লামাগণের নেতৃত্বের প্রতি হস্তক্ষেপ করেন নাই। কিন্তু তাহার প্রচারের জন্য তিনি অমিতাভের অবতার বলিয়া পূজিত হইতেন, এবং শাক্য লামাগণ অবলোকিতেশ্বরের অবতার রূপে প্ৰসিদ্ধ ছিলেন। ক্ৰমে শাক্য লামা ও সংকপার উত্তরাধিকারিগণ দালাইলাম ও পন্তসেন লামা বলিয়া বিখ্যাত হন। খৃষ্টীয় পঞ্চ- |