পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (ষষ্ঠ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R o og ঐতিহাসিক চিত্ৰ । তিনি ত জ্যোতির্বিদন্দিগের মধ্যে চন্দ্ৰ কলার হ্রাস বৃদ্ধি বা উহার আকার অদ্ধচন্দ্ৰ হইতে কিরূপে পূৰ্ণচন্দ্র হয় ও পূর্ণ(থ) চন্দ্ৰ কলার হ্রদ বৃদ্ধি চন্দ্ৰ হইতে কিরূপেই বা পুনরায় উহার আকার ক্ৰমশঃ কামতে থাকে, প্রথমে বুঝিতে সমর্থ হহঁয়াছিলেন । ইহাতেই স্পষ্ট প্ৰতীয়মান হয় । চন্দ্ৰ প্ৰতিমাসে পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘে এক বারা প্ৰদক্ষিণ করে, ইহা তিনি বুঝিতে পারিয়া(গ) চন্দ্রের মাসিক গতি । छि८०1न् । চন্দ্রের আকার কিরূপে ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইতে ও হ্রাস হইতে থাকে, সূৰ্য্য ও আমাদের মস্তকের মধ্যস্থানে কোন একটি গোলাকার বস্তু ধরিয়া ক্ৰমশঃ সারা হতে আরম্ভ করিলেই আমরা সহজে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিব। গোপাকার বস্তুটা আমাদের মস্তকের ও সুৰ্য্যের মধ্যস্থলে থাকিলে আমরা উহার অন্ধকার দিকটাই দেখতে পাই । কিন্তু ক্ৰমশঃ উহাকে আমাদের মস্তক কেন্দ্ৰ করিয়া, বৃত্তাকারে সরাইতে আরম্ভ করিলে, আমরা ক্ৰমে উহার উজ্জ্বল অংশ দেখিতে থাকিব । এইরূপ যােত ই উহাকে সরান হইবে, আমরা তােতই উঠার উজ্জল অংশ দেখিব। ক্ৰমে যখন উহ আমাদের পায়ের দিকে অর্থাৎ সুর্গের ঠিক বিপরীত দিকে আসিবে, আমরা তখন উহাকে সম্পূর্ণ উজ্জ্বল দেখিব। এইরূপে চন্দ্র যখন পৃথিবীর চতুর্দিক ভ্ৰমণ করিয়া সুৰ্য্যের ঠিক বিপরীত দিকে আইসে, আমরা তখন উহাকে সম্পূর্ণ উজ্জ্বল দেখি, ইহাকেই আমরা পূৰ্ণচন্দ্ৰ বলি । তৎপরে ক্ৰমে চন্দ্র যখন পুনরায় সুৰ্য্য ও পৃথিবীর মধ্যে আইসে, তখন আমরা উহার যে উজ্জল অংশ দেখিতে পাইয়াছিলাম, ক্ৰমে উহার হ্রাস হইয়া পুনরায় সম্পূৰ্ণ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়। ইহাকেই আমরা অমাবস্যা বলিয়া থাকি । এনাক্সিমেণ্ডার চন্দ্ৰকলার এইরূপ মাসিক হ্রাস বৃদ্ধি সর্বপ্রথমে আবিষ্কার করেন ।