পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণা প্ৰতাপসিংহ ও কুলপুরোহিত। ( হলদিঘাট-যুদ্ধের পরে ) কুলপুরোহিত । প্ৰতাপ, ব্ৰাহ্মণ-পদে তোমার অচলা ভক্তি, সেই সাহসেই আজ তোমাকে এত কথা বলিতেছি । প্রতাপ সিংহ । আপনি বাপ্পারাওয়ের বংশের একমাত্র শুভাকাঙ্ক্ষী, আপনার আশীৰ্বাদই রাজার অক্ষয় কবচ । কুঃ । যদি ইহাই হয়, তবে আমি মুক্ত কণ্ঠে বলিতেছি, চিতোরের ख्रिश्ॉनन् छ्त्रांद्र छक्षेिद्रुङ छ्ट्रे८द । প্ৰঃ। গুরুদেব, আপনি এই নিরাশার সমুদ্রে কি ভাসমান তৃণ অবলম্বন করিবেন স্থির করিলেন জানিনা । ইহা কৃতনিশ্চয় যে, সুৰ্য্যংশের গৌরব রবি আর উদিত হইবে না, কাল যবন ভারতের অঙ্গে যে কলঙ্ক ছায়া অৰ্পণ করিয়াছে, তাহা অার মুছিবেন । কুঃ । নিরাশাকে হৃদয়ে স্থান দেওয়া কি তোমার উচিত ? প্ৰঃ । আশা ? আর আশা করিতে সাঙ্গাস হয় না, হলদিঘাটের নরমেন্ধের পূর্বে আশা করিয়াছিলাম, আজ আর তাহ পারিনা। এই ৷ ঝটিকাৰিক্ষুব্ধ ঘোর বর্ষিণী নিশীথে ঐ কম্পিত শিখ রহি৭ে কেন প্ৰভু ? কুঃ । ঐ বিদ্যুতালোকে কি পথ দৃষ্ট হয় না ? এই কর্কশ বন্ধুর-পথে প্রতি মুহূৰ্ত্তে পতনের আশঙ্কা । প্রতিপদে মৃতু্যচ্ছায়া আলিঙ্গন করিয়া চলিতে হইবে, কিন্তু প্ৰতাপের উচ্চাতে কোন দিন ভয় হইয়াছে ? প্ৰঃ। গুরুদেব ! যে অতল গর্ভে ডুবিয়াছে, তাহাকে তুলিতে আর চেষ্টা কেন ? যে মরিয়াছে, তার কৰ্ণে অাশার মোহিনী মন্ত্র কেন ? একবার আকাশ প্ৰান্তে চাহিয়া দেখুন কি ঘনঘটা ; “প্ৰভাপের হৃদয়েও দেখুন বর্ষার সমস্ত জলদমাল। আচ্ছন্ন করিয়াছে ; তারও হৃদয়ে মহ