পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমান রাজবংশ । Ve ! পলায়ন করিয়া জীবনরক্ষা করেন, কিন্তু রাজকুমারী শোভাসিংহের হস্তে i ধৃত হয়েন । রাজকুমারী অলোকসামান্য রূপবতী ছিলেন,-ৰ্তাহার রূপে মুগ্ধ হইয়া পাপাচারী শোভসিংহ তাহাকে আলিঙ্গন করিতে উদ্যত হইলে বীরবাল তদীয় অঙ্গ-বস্ত্ৰ-মধ্য হইতে শাণিত ছুরিক বাহির করিয়া শোভাসিংহের উদর মধ্যে প্ৰবেশ করাইয়া দিয়া তাহার। পাপময় জীবনের অবসান করাইয়া দিলেন, এবং সেই ছুরিকাঘাতে নিজেও প্ৰাণত্যাগ করিলেন । এদিকে রাজকুমার জগতরায় ঢাকার সুবাদার ইব্রাহিম খাঁর নিকট উপস্থিত হইয়া সমস্ত অবস্থা বিবৃত করিলেন। ইব্রাহিম খাঁ এই ঘটনা সামান্য মনে করিয়া যশোহরের ফৌজদার নূরউল্যা খাঁর উপর এক পরোয়াণা জারি করিয়াই নিশ্চিন্ত হইলেন । কিন্তু নূরউল্যা খাঁ এই বিদ্রোহীদিগের কিছুই করিতে পারিলেন না। অবশেষে সুবাদার ইব্রাহিম খাঁ স্বয়ং আসিয়া এই বিদ্রোহীদিগকে দূর করিয়া দিলেন । বিদ্রোহানল নির্বাপিত হইলে জগতরাম পিতৃসিংহাসনে অধিরোহণ করেন । রাজা জগতরাম ১৬৯৯ খৃঃ অব্দে দিল্লীশ্বর আওরঙ্গজেবের নিকট হইতে ও ০ মহাল জমিদারী ও মহারাজ উপাধিসহ এক ফরমান লাভ করেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় এ সম্মান ও সম্পত্তি তিনি অধিক দিন ভোগ করিয়া যাইতে পারেন নাই। ১৭০২ খৃঃ অব্দে তঁহার পিতৃখনিত ‘কৃষ্ণসায়ার” নামক বিশাল সরোবরে স্নান করিবার সময় জনৈক বিশ্বাসঘাতক গুপ্ত হত্যাকারীর ছুরিকাঘাতে অকালে তিনি মানবলীলা সংবরণ করেন । মহারাজ জগতরায়ের দুই পুত্র। জ্যেষ্ঠ কীৰ্ত্তিচন্দ্র ও কনিষ্ঠ মিত্ৰসেন । পিতার মৃত্যুর পর কীৰ্ত্তিচন্দ্র পিতৃত্যক্ত সম্পত্তির ও পদের উত্তরাধিকারী হইলেন। ইনিও ১৭০৩ খৃষ্টাব্দে দিল্লীশ্বর আওরঙ্গজেব বাদশাহের নিকট হইতে পৈতৃক পদ ও সম্পত্তির ফরমান লাভ করেন। কীৰ্ত্তিচন্দ্রের অদ্ভুত সাহস ও বিপুল কাৰ্য্যকুশলতা ছিল। রাজ-সনন্দ লাভ করিয়াই তিনি পিতা