পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

レア。 ঐতিহাসিক চিত্ৰ । কণার ন্যায়। এই অগণ্য সৈন্য সমাবেশ দর্শন করিয়া, তিনি আপনার সৈন্যগণকে পরিখা খনন করতঃ ক্ষণকাল অবস্থান করিতে বলিয়া, স্বয়ং আশ্বারোহণে দূর হইতে শক্রিগণের গতিবিধি পৰ্যবেক্ষণ করিতে লাগিলেন। দেখিলেন যে, শত্রুপক্ষের দক্ষিণপাশ্ব অরক্ষিত। ইহ: দেখিয়া তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়া ফিরিয়া আসিলেন। মামুদ তোমার বৃথা সৈন্য রচনা । ভারতের দুর্ভাগ্য দূর করিবার ক্ষমতা তোমার কোথায় ? তাহা যে নিতান্তই ভবিতব্য। তৈমুর আলি ভাওয়ালের অধীনে সামান্য সৈন্য দিয়া, তাহাকে শত্রু সৈন্যের দক্ষিণ পার্শ্ব আক্রমণের জন্য প্রেরণ করিলেন । ক্ষুধিত শাৰ্দ্দল যেরূপ মৃগযুথকে ছিন্নভিন্ন করিয়া বিপৰ্য্যস্ত করিয়া তুলে, তিনি সেইরূপ অমিত তেজে শত্ৰুগণকে আক্রমণ করিলেন। শত্রুরা সে আক্রমণ সহ্য করিতে না পারিয়া ছত্ৰ ভঙ্গ হইয়া পলায়ন করিল। কথিত আছে, সুলতান এই পরাজয়-সংবাদে ভীত হইয়া, পলায়ন কৱিলেন। কিন্তু তৈমুরের সৈন্যগণের দ্বারা অনুসৃত হইয় তাহাকে নানা বিড়ম্বন ভোগ করতে হইয়াছিল। ইহার পর দিল্লীর শোচনীয় ইত্যাকাণ্ডের কথা । নাগরিকগণের দ্বারা উত্তেজিত হইয়া, তৈমুরের সৈন্য-গণ দিল্লীকে আবার নর-শোণিতে কৰ্দমাক্ত করিয়া তুলিলা । দিনরাত্র রক্তস্রোত বহিয়া অমরাবতী দিল্লী নগরী, নরকঙ্কালে পরিপূর্ণ, প্ৰাণহীন শ্মশানে পরিণত হইল। কথিত আছে, নরনারীর মুণ্ড একত্রে সজ্জীভূত হইয়া, এক বিশাল সৌধে পরিণত হইয়াছিল। শত সহস্ৰ ব্যক্তিকে বন্দী করিয়া ৪। তৈমুর ভারতের নানাস্থানে পৰ্য্যটন করতঃ প্ৰায় এগার মাস পরে, তিনি স্বদেশ

  • কথিত আছে যে, স্বদেশে যে বিশাল মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিবার তৈমুরের ইচ্ছা! ছিল, তাছার জন্ম ৩০ হাজার রাজমিস্ত্রিকে দিল্পী হইতে বন্দী করিয়া লইয়। যান ।