পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( R ) প্ৰাণের পরমেশ্বরকে পিতা বলিয়া ডাকা কিছু নূতন কথা নহে। আদিকাল অবধি বৈদিক ঋষিগণই যে তঁহাকে পিতা বলিয়া পিতা বলিয়া আহ্বান! সৰ্ব্বপ্রথম ডাকিয়াছিলেন তাহা নহে। জগতের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে জগতের প্রত্যেক পরমাণু সেই জগতের স্রষ্টা, পাতা ও নিৰ্ব্বহিত পরমেশ্বরকে পিতা বলিয়া ডাকিতে আরম্ভ করিয়াছে। সেই আদিকাল অবধি আজ পৰ্য্যস্ত জগতের প্রত্যেক পরমাণু হইতে পরমেশ্বরের প্রতি পিতা বলিয়া আহবান সমাধারে উখিত হইতেছে- সে আহবানের বিরাম নাই। আমাদিগের এই চৰ্ম্মচক্ষু দিয়া দেখিলে বা চৰ্ম্মকৰ্ণ দ্বারা শুনিতে জানকীর্ণ দ্বারা বিশ্বসঙ্গীত ইচ্ছা করিলে চলিবে না।--তাহা হইলে আমরা শুনিতে হইবে। জগতের সেই মহান আহবানগীত কিছুতেই শুনিতে পাইব না। আমাদিগের অন্তরে যে জ্ঞানচক্ষু আছে এবং যে জ্ঞানকৰ্ণ আছে, সেই বিশ্বসঙ্গীত শুনিতে চাছিলে সেই জ্ঞানচক্ষু ও জ্ঞানকৰ্ণকে জাগ্ৰত করিয়া তুলিতে হইবে । কোলাহলপূর্ণ জগতের বৃথা কলরব হইতে এই চৰ্ম্মাচ্ছাদিত চক্ষু ও কর্ণকে প্ৰতিনিবৃত্ত করিতে হইবে। জগতের ছোটখাটাে বিষয়সমূহ হইতে মনকে সম্পূর্ণরূপে উঠাইয়া লইতে হইবে, তবে জগতের গভীর অন্তর হইতে যে আহবানগীত ভগবানের চরণাভিমুখে নিরস্তুর উখিত হইতেছে, সেই মহান উদার আহবানগীত শুনিবার আশা করিতে পারি। আমাদের অন্তরের চক্ষুকৰ্ণকে জাগাইয়া তুলিলেই আমরা শুনিতে পাইব যে সেই আদিকাল হইতে এবং সেই অনাদিকাল হইতে জগতচরাচর ভেদ করিয়া, শতকোটা সুৰ্য্যচন্দ্ৰগ্ৰহনক্ষত্ৰসকল ভেদ করিয়া, সম্মুখে