পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( No ) প্রসারিত অনস্তবিস্তৃত এই মহাব্যোম ভেদ করিয়া অনন্তকাল ধরিয়া জগৎস্রষ্টা পরমেশ্বরকে পিতা বলিয়া ডাকিবার এক মহান আহবানগীত, ५धकौ शशंनां ऐथिङ छ्छेङ८छ् । তবে বৈদিক মন্ত্রের প্রাধান্য কোথায় ? এই মন্ত্রে আমাদিগের আহ্বান গীতের ব্যক্তি পূৰ্বপুরুষ ঋষিগুণ জগৎশ্রষ্টা পরমেশ্বরকে পিতা আকার দেওয়াতেই বলিয়া ডাকিবার সেই সুগভীর অব্যক্ত আহবান - , বৈদিক মন্ত্ৰৰ মৃত্যুনত্ব। গীতকে ব্যক্তি আকার দিয়াছেন, সেই অব্যক্ত মহানাদকে মূৰ্ত্তিমান করিয়া আমাদিগের সম্মুখে উপস্থিত করিয়াছেন। সমগ্ৰ জগত যে কথাটীকে বলি বলি করিয়াও স্পষ্টরূপে বলিতে পারে, নাই, ঋষিরা সেই কথাটী সুস্পষ্ট ভাষায় ব্যক্তি করিয়া বলিয়াছেন এবং উত্তরাধিকারসূত্রে আমাদিগকে সেই আহবানগীত প্ৰত্যক্ষ শুনিবার অধিকার দিয়াছেন, এইখানেই সেই বৈদিক মন্ত্রের মাহাত্ম্য ও নূতনত্ব। ঈশ্বর যেমন নিত্য নুতন, এই বৈদিক মন্ত্রও সেইরূপ চিরনূতন । এই মন্ত্রের মৃত্যু নাই। ঋষিরাও এই বেদমন্ত্রে ঈশ্বরকে পিতা বলিয়া ডাকিয়া হৃদয়ে এক নূতন বলা লাভ করিয়াছিলেন ; আমরাও এই বেদমন্ত্রে তাহাকে পিতা বলিয়া ডাকিয়া এক আশ্চৰ্য্য নবশক্তিতে অভিষিক্ত হইতেছি । ঈশ্বর আমাদিগের পিতা । তঁহাকে আমরা পিতা বলিয়া ডাকি ঈশ্বর জগতের কেন ? তিনি জগতচরাচরের সৃষ্টিকৰ্ত্ত সুতরাং আমালিষ্ট ও পিতা । দিগেরও স্ৰষ্টা, তাই তিনি আমাদিগের পিতা । তিনি সৃষ্টির অদিকালে যে সকল নিয়ম প্ৰতিষ্ঠিত করিয়া দিয়াছেন, তাহারই ফলে এই কোটী কোটী সুৰ্য্যচন্দ্ৰগ্ৰহনক্ষত্রের উৎপত্তি হই