পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/১৬

দ্বিতীয় ভাব-ঈশ্বর জগতপাত ও পিতা । ঈশ্বর আমাদের পিতা । তিনি যেমন জগত চরাচরের স্রষ্টা বলিয়া ईश्न्न सङ्गीCख्5झ পিতা, সেইরূপ তিনি জগতসংসারের পাতা, কেবলমাত্র স্রষ্টা নহেন । পালনকৰ্ত্ত বলিয়াও পিতা । এখানে সাধারণতঃ দেখা যায় যে জন্মদাতা পিতা কেবলমাত্ৰ সন্তানের জন্মদান করেন। বলিয়াই যে সন্তানেরা তা স্থাকে। পিতা বলিয়া ডাকিয়া আনন্দ লাভ করে, সন্তানদিগের ভক্তিশ্রদ্ধা। পিতার চরণে ছুটিয়া যায়, তাহা নহে । জন্মদাতা পিতা সন্তানের পালনকৰ্ত্তা, শৈশব অবধি সন্তানের লালনপালনের সুব্যবস্থা করেন এবং সেই সুব্যবস্থা করিতে গিয়া নিজের সুখস্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি কিছুমাত্ৰ লক্ষ্য করেন না, প্ৰাণপৰ্য্যন্ত দিতে পশ্চাৎপদ হয়েন না, সেই কারণেই পিতার প্রতি সন্তানের ভক্তিশ্রদ্ধা ত উচ্ছসিত হইয়া উঠে, সন্তান পিতার নামে এত গৌরব করিতে চাহে । ঈশ্বরও যদি কেবলমাত্র এই জগতচরাচরের স্বষ্টি করিয়া, ইহার জন্মদানিমাত্ৰ করিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতেন, তাহা হইলে কি আমাদিগের ভক্তিশ্রদ্ধা তাহার দিকে ছুটিয়া যাইত ? তাহার জগত্যরচনার কাৰ্য্যপ্ৰণালী দেখিয়া, তাহার সৃষ্টিতত্ত্ব আলোচনা করিয়া আমরা খুবই আশ্চৰ্য্য হইয়া যাইতাম বটে, কিন্তু আমাদের হৃদয়ের গভীর প্ৰীতি তঁহার প্রতি কখনই ছুটিয়া যাইত না । কেবলমাত্ৰ জগতস্রষ্টা পরমেশ্বরকে আমরা ভয় করিতে পারি, ঈশ্বর জগতের তাহার ক্ষমতা দেখিয়া আমরা অবাক হইতে পতি ও পিতা ! পারি, কিন্তু তঁহাকে ভালবাসিতে পারি না, তাহাকে পিতা বলিয়া বন্ধু বলিয়া প্ৰাণের ভিতর টানিয়া বসাইতে