পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( d R ) দিয়া তাহার সংসারকে আবৃত করিয়া রাখিয়াছেন, সেই প্রেমের বলে সেই পালনকৰ্ত্তার স্নেহ যেমন সেই সন্তানদিগের উপরে নামিয়া আসে, সন্তানেরাও সেইরূপ সেই পালনকৰ্ত্তাকে পিতা বলিয়া ডাকিয় তাহারই চরণে হৃদয়ের ভক্তি শ্রদ্ধা সমৰ্পণ করিয়া কৃতাৰ্থ হয় । সন্তানের প্রতি জন্মদাতা পিতার তীব্র ভালবাসা এবং সন্তানদিগকে লালনপালন করিয়া মানুষ করিয়া তুলিবার ইচ্ছা! সন্তানবাৎসলেই W জীবরক্ষার উপায়। কেবল মনুষ্যমাত্রেই সীমাবদ্ধ নহে। মনুষ্য অবধি ক্ষুদ্রতম কীটাৰু পৰ্যন্ত সকল প্রাণীরই মধ্যে সস্তানবাৎসল্য স্বাভাবিক ভাবে জাগ্ৰত থাকিতে দেখা যায়। এই সন্তানবাৎসল্য থাকাতেই জীবপ্রবাহ রক্ষা পাইতেছে এবং জীবগণ উন্নতির পথে ক্ৰমাগত অগ্রসর হইতে সক্ষম হইতেছে। , মনুষ্যই বল আর কীটপুই বল, সকল প্ৰাণীরই মধ্যে সন্তানবাৎসকল প্রেমের মূল উৎস " খোদিত হইয়া রহিয়াছে। এই যে এক ও অখণ্ড সন্তানবাৎসল্য কোটী কোটী যুগ ধরিয়া প্ৰাণীগণের মধ্যে সমান ভাবে কাৰ্য্য করিয়া আসিয়াছে, ইহার মূল প্রস্রবণ এক ও অখণ্ড না হইলে কি ইহা এই বিরাট আকাশ এবং এই বিশাল কাল ব্যাপ্ত করিয়া এরূপ অবিচলিত ভাবে কাৰ্য্য করিতে পারিত ? কেবল আপনার সন্তানের প্রতি জন্মদাতা পিতার মমতা নহে, কিন্তু মনুষ্যসমাজে অপরের পুত্রের প্রতি পালনকৰ্ত্তার যে স্নেহমমতার অস্তিত্ব বিষয়ে উপরে বলিয়া আসিয়াছি, অবস্থা বিশেষে খাদ্যখাদকসম্বন্ধবিশিষ্ট অন্যান্য জীবজন্তুগিণেরও মধ্যে সেই মমতার অস্তিত্ব দেখা গিয়া থাকে ।