পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাব-ঈশ্বরের পালনী ব্যবস্থা । ঈশ্বর জগতের পালনকৰ্ত্তা ও পিতা, তাহা আমরা ইতিপূর্বে বলিয়া আসিয়াছি । তিনি জগতচরাচরের একমাত্র পালনকৰ্ত্ত ও একই নিয়ম প্ৰণালী পিতা বলিয়া সমগ্ৰ জগতের মধ্যে এবং সকল জগতসিংসার রক্ষা কালের মধ্যে একই নিয়ম প্ৰণালী কাৰ্য্য করিয়া করিতেছে । জগতসংসারকে রক্ষা করিতেছে। সেই কারণেই জগতের প্রত্যেক অণুপরমাণুর মধ্যে এক আশ্চৰ্য্য যোগ নিবন্ধ রহিয়াছে। সেই কারণেই কালেরও অতীত বৰ্তমান ও ভবিষ্যৎ এই • তিন অবস্থার মধ্যে এক অচ্ছেদ্য বন্ধন রক্ষিত দৃষ্ট হয়। কোথায় কোন কালে সূৰ্য্য সৃষ্ট হইয়াছে- সেই আদি সৃষ্টিকালেও যে নিয়মের বলে সুৰ্য্যের উষ্ণতেজ বারিপাতের দ্বারা প্ৰশমিত হইত, আজিও সেই একই নিয়মে সুৰ্য্যের উষ্ণতা বারিপাতে প্রশমিত হইতেছে এবং সেই একই নিয়মে এই পৃথিবীরও উষ্ণভাব বারিপাতের দ্বারা শীতল হইতে চলিয়াছে। আবার সেই একই নিয়মে আমাদেরও শরীর গরম হইলে জলের দ্বারা তাহা শীতল করি । পশুপক্ষী প্ৰভৃতি অন্যান্য জীবজন্তুরাও সেই একই নিয়মে শরীর রক্ষণ করে । মনুষ্য পশুপক্ষী প্রভৃতি সকল প্ৰাণীই দেখি যে ক্ষুধা পাইলেই আহারের দ্বারা জীবন রক্ষা করে। কোথায় ঐ সুৰ্য্য, আর কোথায় এই পৃথিবী-সুৰ্য্য উত্তাপ দিতেছে, পৃথিবী উত্তপ্ত হইতেছে, পৃথিবীর জল উৰ্দ্ধে উঠিতেছে, আবার সেই জল শীতল আকারে পুথিবীর গাত্রে নিপতিত হইয়া পৃথিবীকে শীতল করিতেছে। কোথায় বা সুৰ্য্য, কোথায় বা ছায়া