পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম ভাব-ঈশ্বরের শিক্ষাব্যবস্থা । ঈশ্বরের পালনী ব্যবস্থা আলোচনা করিবার কালে আমরা ক্ষুধাবৃত্তিতে জ্ঞান- দেখিয়া আসিয়াছি যে তাহার মধ্যে অপচয়ের ম্পূহার মূল নিহিত। এতটুকুও স্থান নাই। আমাদের ছোটখাটাে ংসারে লাভ আছে লোকসান আছে, কিন্তু বিরাট পুরুষের বিরাট ংসারে লোকসান নাই, একটী শক্তিরও বিনাশ নাই। ভগবান আমাদিগের জ্ঞানলাভের জন্য যে ব্যবস্থা করিয়াছেন তাহারও মধ্যে দেখিতে পাই যে অপচয়ের এতটুকু স্থান নাই। তিনি আমা-- দিগের শরীরে ক্ষুধাবৃত্তি দিলেন । ক্ষুধা তো অতি সামান্য চেষ্টা দ্বারা নিবৃত্ত হইতে পারে । কিন্তু আশ্চৰ্য্য এই যে, যে জ্ঞান মহাব্যোম ভেদ করিয়া জ্যোতিষ্কতত্ত্ব আবিষ্কারের স্পৰ্দ্ধা করে, সেই জ্ঞানস্পৃহারও অভিব্যক্তিমূল নিহিত করিয়া দিলেন সেই শারীরিক ক্ষুধাবৃত্তিতে। ক্ষুধা চরিতাৰ্থ করিতে গিয়া জীবজন্তুকে জ্ঞানের অভিব্যক্তি বা উন্নতি সাধনে প্ৰবৃত্ত হইতে হইল। ক্ষুধা ও জ্ঞানের মধ্যে এই যোগের বিষয় ভাবিয়া দেখিলে বিস্ময়ে নির্বাক হইতে হয় । জ্ঞান ব্যতীত ক্ষুধার নিবৃত্তি করা অসম্ভব এবং ক্ষুধার নিবৃত্তি না ক্ষুধা ও জ্ঞানের মধ্যে হইলে জ্ঞানের "ধূৰ্ত্তিসাধন অসম্ভব । আমাকে ठभग 65 । জানিতে হইবে যে আমার আহার কোথায় আছে এবং কি উপায়ে সেই আহার সংগ্ৰহ করা যাইতে পারে। এই সকল বিষয় জানিতে পারিলে এবং তদনুরূপ উপায় অবলম্বন করিয়া আহার সংগ্ৰহ করিতে পারিলে তবে আমরা আমাদের ক্ষুধা