পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ) যে পরমেশ্বর তাহা কে অস্বীকার করিতে পারে ? কে অস্বীকার করিবে যে, র্যাহার আদেশে আমাদের প্রতি নিশ্বাসপ্ৰশ্বাস নিয়মিত হইতেছে, সুৰ্য্যচন্দ্ৰগ্ৰহতারকার উদয়াস্ত নিয়মিত হইতেছে, র্যাহার আদেশে বিশ্বচরাচরের সৃষ্টিস্থিতি নিয়মিত হইতেছে, তঁহারই আদেশে প্ৰলয়ঘটনা সকলও জগতে আপনাপন নিদিষ্ট কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া চলিয়াছে ? তিনিই প্ৰলয়কৰ্ত্তা। আমাদের নিশ্বাসপ্রশ্বাস হৌক, অথবা ঝঙ্কাবাত, ভূমিকম্প বা বন্যা প্ৰভৃতি বৃহৎ ‘ বৃহৎ প্ৰলয়ঘটনাই হৌক, সকলই সেই বিশ্বনিয়স্তার নিয়মে নিয়ন্ত্রিত হইতেছে। একটা নিমেষ ও ঊর্তাহার আদেশ অতিক্ৰম করিয়া চলিতে পারে না । মঙ্গলময় পরমেশ্বর যখন প্ৰলয়ক ওঁ, প্ৰলয়ঘটনা সকল যখন প্ৰলয়ে ঈশ্বরের DBDBBB BBB BD0D DBDLDDSDBDB DDD পিতৃমূৰ্ত্তি । মঙ্গল পিতৃভাব যে সেই সকল ঘটনার উপরেও বিস্তৃত হইবে তাহ বলিয়া দিবার প্রয়োজন নাই। জগতস্রষ্টা বিশ্বপাত পরমেশ্বর প্রলয়েরও অধীশ্বর বলিয়াই আমরা প্ৰলয়ঘটনা সমূহে একদিকে যেমন র্তাহার উদ্যতবঞ্জ রুদ্রমূৰ্ত্তি দেখিয়া ভয়ে কম্পিত হই, অপরদিকে তেমনি সেই প্ৰলয়েরই মধ্যে র্তাহার প্রসন্নবদন শান্ত পিতৃমূৰ্ত্তি আমাদিগের ত্রাসকম্পিত চিত্তকে শান্তি প্ৰদান করিতে থাকে। যে নিয়মে প্ৰলয় হইতে বিনাশ ও মৃত্যুর ছায়া বিদূরিত হইয়াছে, সেই নিয়মই কি প্রলয়ের মধ্যে মঙ্গলময় ঈশ্বরের পিতৃভাব সুস্পষ্টরূপে দেখাইয়া দিতেছে না ? তিনি যেমন জগতের জন্মদাতা হইয়া, জগতকে সুনিয়মে পালন করিয়া আমাদের পিতৃপদে