পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Sct. ) যখন ভূমিকম্পে সেই সৌধপ্রাসাদ অট্টালিকা সকল ভূমিসাৎ হইয়া যায়, তখন আমরা মনে করি যে ভূমিকম্পের ফলে অমঙ্গল আসিল, কারণ আমরা আমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ স্বার্থের সঙ্গে জড়িত করিয়া যে সকল কাৰ্য্যকে উন্নতির চিকু বলিয়া মনেতে বড়ই যত্নের সহিত পোষণ করিয়া রাখিয়াছিলাম, ভূমিকম্প আমাদিগের সেই চিরপুষ্ট স্বার্থের প্রতি এতটুকু’ মনোযোগ প্ৰদান না করিয়া অনায়াসেই মুহুর্তের মধ্যে সেই সকল অট্টালিকা ভূমিসাৎ করিয়া দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই স্বার্থকেও নিষ্ঠুরভাবে ধূলিসাৎ করে । এই যে ইউরোপীগণ্ডে প্ৰচণ্ড সমরানল জ্বলিয়া উঠিয়াছে ; কতশত লক্ষ লোক অকাতরে প্রাণ বিসৰ্জন করিতেছে, কতশত গ্ৰন্থাগার, কতশত কলকারখানা কামানের গোলার মুখে ভস্মসাৎ হইয়া যাইতেছে ; কত বৈজ্ঞানিক ধৰ্ম্মযাজক প্রভৃতি উন্নতমনা ব্যক্তি মহাভ্ৰম মহামোহের ফলে এই সমরাগ্নিতে আহুতিস্বরূপে প্রদত্ত হইতেছেন । ইউরোপের পক্ষে আমরা এই ঘটনাকে ঘোর অমঙ্গল বলিয়া মনে করিতেছি, কারণ আমাদের মতে এই যুদ্ধের ফলে ইউরোপের গুরুতর স্বাৰ্থহানি হইবে। আবার আমাদিগের পক্ষেও এই যুদ্ধকে অমঙ্গল বলিয়া ভাবিতেছি, কারণ ইহার ফলে আমাদিগেরও অনেক স্বাৰ্থহানির সম্ভাবনা দেখি। এই যুদ্ধের ফলে আমাদিগের দেশের ব্যবসায়ের ক্ষতি হইতেছে, খাদ্যদ্রব্য প্রভৃতি মহার্ঘ্য হইয়া পড়িতেছে এবং কাজেই আমাদিগের জীবনধারণের পথে বিঘ্ন আসিবার সম্ভাবনা হইতেছে ; আমাদের দেশের কত সৈন্যকে এই যুদ্ধে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় প্ৰাণ বিসর্জন করিতে হইতেছে ; কত অর্থ ব্যয় করিতে্যু