পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8ፃ ) মৃত্যু ঘটতেছে, ব্যবসায়ের ক্ষতি হইতেছে, এই সকল ঘটনা স্থানবিশেষের বা কালবিশেষের সঙ্কীর্ণ সীমার মধ্য দিয়া দেখিলে আমাদের চক্ষে অমঙ্গল বলিয়া প্ৰতিভাত হয়। কিন্তু যদি এই সকল ব্যাপার সেই জ্ঞানময় পরমপুরুষের জ্ঞানের দিক হইতে, সেই সৰ্ব্বমঙ্গল পরমেশ্বরের সমগ্ৰ জগতসিংসারের স্বার্থের দিক হাঁটুতে দেখি, তাহা হইলে এই সত্যের উপর নিশ্চয়ই নির্ভর করিতে পারিব যে এই সংগ্ৰাম কখনই অমঙ্গলজনক হইতে পারে না, কারণ মঙ্গলময়ের আদেশে এই ঘটনা সমগ্র জগতের মঙ্গলের সহিত জড়িত। এই সংগ্রামের ফলে যে কিরূপ মঙ্গল সংসাধিত হইবে তাহা আমরা সম্পূর্ণ না জানিতে পারিলেও তাহার যে ইঙ্গিত পাই না, আভাস পাই না সে কথা বলিতে পারি না । আমাদিগের বিশ্বাস যে, যে সাংঘাতিক সামরিক ভাবের উপর এতদিন ধরিয়া সমস্ত ইউরোগ দাড়াইয়াছিল, সে ভাব আর বেশী দিন দাড়াইতে পরিবে না । এই দারুণ সংগ্ৰাম সেই ভাবের উষ্ণ বায়ুকে বিদূরিত করিয়া শীঘ্রই এক নবতর শাস্তিময় বিমল বায়ুর স্রোত প্ৰবাহিত করিবে । এই সংগ্রামের ফলে জগতে ধৰ্ম্মরাজ্যের সুপ্ৰতিষ্ঠা হইবে । লক্ষ কোটী লোকের আত্মবিসর্জনের বিনিময়ে এই ধরাধামে ক্ষত্ৰিবল ধিক্ ত হইয়া ব্ৰহ্মতেজের বল এক অপূৰ্ব্ব জ্যোতিৰ্ম্ময় সিংহাসনে সুপ্ৰতিষ্ঠিত হইবে এবং অগত্যা মঙ্গলময় ভগবানের পিতৃভাবেরই জয়জয়কার হইবে । এইরূপে আলোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাইব যে প্ৰলয়ঘটনা হউক বা অন্য যে কোন ঘটনা হউক, প্রত্যেক ঘটনাতেই মঙ্গলময়ের মঙ্গলহস্ত বিস্তুত থাকে । ভগবান তঁহার পরিপূর্ণ জ্ঞানে ঠিক জানিতেছেন যে