পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( . ) ধৰ্ম্ম বলিয়া দেখি, জীবজন্তুতে জীবধৰ্ম্ম বলিয়া দেখি-বস্তুত প্ৰত্যেক পদার্থে সেই সেই পদার্থের স্বধৰ্ম্ম বলিয়া গ্ৰহণ করি । এই ধৰ্ম্মই আবার মানুষ্যে মনুষ্যধৰ্ম্ম বলিয়া প্ৰকাশ পাইয়াছে। আমরা সচরাচর যাহাকে ধৰ্ম্ম বলি, তাহা এই মনুষ্যধৰ্ম্মকেই উদ্দেশ করিয়া ঘলিয়া থাকি । জড়পদার্গের ধৰ্ম্মকে আমরা সাধারণতঃ তাহাদের গুণ বলিয়া ব্যক্ত করি, মনুষ্যেতর জীবগণের ধৰ্ম্মকে তাহাদের স্বভাব ঘলিয়া উল্লেখ করি ; কেবল মানুষ্যে যে উন্নত আকারে ধৰ্ম্ম অভিব্যক্তি হয়, তাহাকেই আমরা মুখ্যত ধৰ্ম্ম বলিয়া অভিহিত করি এবং তাহারই শ্ৰেষ্ঠতম আদর্শের নিকট আমরা আমাদের মস্তক গভীর শ্রদ্ধা সহকারে • ६न्) ट्टि । মানবের ধৰ্ম্ম কি এবং সেই ধৰ্ম্মের শ্রেষ্ঠতম আদর্শ কি, ইহা ঋষিরাই মানবন্ধৰ্ম্মের লইয়া বহুকাল ম্যাবৎ বাদবিতণ্ডা চলিয়াছে এবং আদর্শ আবিষ্কার সেই বাদবিতণ্ডা যে কত দিন পরে নিস্তব্ধ হইবে ফরিয়াছেন । তাহাও বলা যায় না। স্পার্টার ধৰ্ম্মপ্রতিষ্ঠাতা তাহার প্রচারিত ধৰ্ম্মলক্ষণের মধ্যে চৌৰ্য্যবৃত্তির প্রশংসা করিলেন, অপরদিকে ভারতের ঋষিরা ধৈৰ্য্য, ক্ষমা প্ৰভৃতিকে ধৰ্ম্মের লক্ষণরূপে নির্দেশ করিলেন। আমরা এখন কোন পথের পথিক হইলে ধৰ্ম্মপথের পথিক হইব ? ধৰ্ম্মের যে সকল লক্ষণ ও কাৰ্য্যের বিষয় উপরে বলিয়া আসিয়াছি, তাহ প্ৰণিধান পূর্বক আলোচনা করিলে বুঝিতে পারিব যে ভারতের ঋষিরা যেরূপ মানবন্ধৰ্ম্মের আদর্শ ও তাহার লক্ষণসমূহ আবিষ্কার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, অপর কোন দেশেরই মনীষীগণ সেরূপ করিতে পারেন নাই । bም”