পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७२ } তেছে, তখন বলা বাহুল্য যে এই শক্তিকে এক ইচ্ছাময় পুরুষ জগতের উন্নতিসাধনে পরিচালিত করিতেছেন। এখন যে শক্তি সৃষ্টির আদি অবধি কাৰ্য্য করিতেছে এবং সৃষ্টির অস্ত অবধি কাৰ্য্য করিবে, কিন্তু সৃষ্টি না থাকিলে যে শক্তির অস্তিত্বই থাকিতে পারিত না, যে শক্তি আব্ৰহ্মাস্তম্ব বিশ্বজগতকে উন্নতির পথে পরিচালিত করিবার অধিকার প্ৰাপ্ত হইয়াছে, সেই শক্তিকে পরিচালিত করিবার ক্ষমতা সেই জগতশ্ৰষ্টা বিশ্বপাত ইচ্ছাময় পরমপুরুষ পরমেশ্বর ব্যতীত অপর কাহাতে বে ? তাই ঋষিরা ঈশ্বরকে ধৰ্ম্মাবহ বলিয়াছেন। তঁহা হইতেই ধৰ্ম্ম সুধাম্রোতের ন্যায় নামিয়া আসিয়াছে । যে ধৰ্ম্ম জগতের প্রত্যেক অণুপরমাণুতে সামঞ্জস্য বিধান করিতেছে, সেই ধৰ্ম্মকে ঈশ্বর নিয়মিত করিতেছেন, সেই ধৰ্ম্মের মধ্যবিন্দু ঈশ্বর, তাই ঈশ্বরকে ছাড়িয়া ধৰ্ম্ম দাড়াইতেই পারে না । ধৰ্ম্মের আবরণ লইয়া অনেক উপধৰ্ম্ম রচিত হইতে পারে, কিন্তু ঈশ্বরকে ছাড়িয়া দিলে সত্যাধৰ্ম্মের অস্তিত্বই থাকিতে श्रi८ । । ঈশ্বর কেবল ধৰ্ম্মাবহ নহেন, তিনি ধৰ্ম্মাবহ ও পিতা । যে দয়াল ধৰও, প্ৰভু জগতস্থষ্টির সঙ্গে সঙ্গে এমন এক ধৰ্ম্মশক্তি পিতা । প্রেরণ করিলেন যে সেই শক্তি এই মহান ব্ৰহ্মচক্রকে উন্নতির পথে অবিশ্রাম লইয়া চলিয়াছে, জগতের মধ্যে এক আশ্চৰ্য্য শান্তি আনয়ন করিয়া জগতকে সুধাময় করিয়া রাখিয়াছে, সেই দয়াল প্ৰভুকে পিতা বলিব না তো আর কাহাকে পিতার আসনে বসাইব ? তিনি যেমন জ্ঞানের বিষয়সকল আমাদের চারিদিকে ছড়াইয়ী রাশিয়া আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে জ্ঞানলাভের অধিকারী করিয়া