পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( وا ) প্ৰকৃতিতে কিন্তু আমরা দেখিতে পাই যে ক্ষণিক সুখের উপর সকল সময়ে আমাদিগের মঙ্গল নির্ভর ক্ষণিক সুখের উপর মঙ্গল নির্ভর করে না-প্রকৃতৰ করে না । বরঞ্চ ইহা দেখি যে প্রকৃত ও প্রকৃত মঙ্গল দৃঢ়বন্ধনে সুখের সঙ্গে প্ৰকৃত মঙ্গল সম্পূর্ণ বিজড়িত सgिऊँ । থাকুে । কুইনাইন বা চিরেতা অত্যন্ত তিক্ত বলিয়া তাহ খাইলে আমাদের জিহবায় ক্ষণিক সুখের ব্যাঘাত হয় বটে, কিন্তু জ্বর প্রভৃতি অবস্থায় সেই কুইনাইন বা চিরেতা সেবন করিলে আমাদিগের মঙ্গল হয় । এস্থলে জ্বরকালে তিক্তসেবনেই আমাদিগের প্রকৃত সুখ এবং তা হাতেই আমাদিগের কল্যাণ । সেই-- রূপ যদি কোন বালক পুষ্করিণীর জলে নামিলে ডুবিয়া যাইবে না ভাবিয়া পুষ্করিণীতে নামিতে অগ্রসর হয়, তাহাতে শীতল জলের স্পর্শে তাহার ক্ষণিক সুখ হইতে পারে, কিন্তু পরিণামে তাহার জীবননাশরূপ গুরুতর অমঙ্গলের সম্ভাবনা নিশ্চিত । এখন যদি তাহার পিতা তাহাকে পুষ্করিণীতে নামিতে দেখিয়া তাহাকে ভৎসনা পূর্বক সেই কাৰ্য্য হইতে নিবারিত করেন, তবে সেই বালকের স্বাধীনতা নষ্ট হওয়াতে এবং শীতল জলের স্পৰ্শজনিত সুখের অভাব হওয়াতে তাহার ক্ষণিক সুখলাভের ব্যাঘাত ঘটিল বটে, আর সেই কারণে বালক হয়তো তাহার পিতার উপর ক্রুদ্ধ হইয়া পিতা বলিয়া ডাকিতে চাহিল না। কিন্তু সেই পিতা যে বালককে মৃত্যুমুখ হইতে রক্ষা করিয়া তাহার মঙ্গল সাধন করিলেন এবং তাঁহাতেই যে বাল কের প্রকৃত সুখ সম্পাদন করিয়া পিতার উপযুক্ত কাৰ্য্য করিলেন, ঈহ! কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি অস্বীকার করিবে ? রোগী ব্যক্তি তাহার