পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Gb ) আমরা দূরে থাকিতে চাহিলেও সেই দয়াল পিতা তো আমাদিগকে পরিত্যাগ করিতে পরিবেন না । তিনি যেমন আমাদিগের প্রাণের প্ৰাণ, আমরাও যে তেমনি তঁাহার প্রাণের প্রাণ । তিনি আমাদের ক্ষণিক সুখের প্রতি লক্ষ্য না করিয়া আমাদিগের পরিণামসুখেরই প্ৰতি লক্ষ্য রাখিয়া সকল কাৰ্য্য সকল ঘটনা নিয়মিত করিতেছেন । সেই সুখই সমগ্র জগতের সুখের সহিত জড়িত এবং তাঁহাতেই আমাদিগের প্রকৃত মঙ্গল । এই মঙ্গলময় সুখের ব্যবস্থাতেই ঈশ্বরের মহান পিতৃভাব সুব্যক্ত রহিয়াছে। উপরে আমরা যাহা বলিয়া আসিলাম, তাহা হইতেই বেশ বুঝা আমাদের দৃষ্টির সঙ্কীর্ণতার যাইবে যে আমাদের দৃষ্টি অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ ও কারণে ঈশ্বরের মঙ্গল ইচ্ছা সীমাবদ্ধ বলিয়াই আমরা অনেক সময়ে উপলব্ধি করিতে পারি না । ভগবৎপ্রেরিত ঘটনাসমূহের মধ্যে র্তাহার মঙ্গল ইচ্ছার পরিচয় পাইতে অসমর্থ হই । বাস্তবিক ভাবিলে স্তম্ভিত হইতে হয়, নির্বাক হইতে হয় যে কি বিরাট কাল পড়িয়া আছে আর কি বিরাট স্থান পড়িয়া আছে। আমরা যেটুকু স্থানের ভালমন্দ বিচার করিতে পারি, আমরা যেটুকু কালের বিষয় ভাবিতে পারি, সেই কাল ও সেই স্থান এই বিরাট কাল ও স্থানের নিকট কত অল্পএত অল্প যে আমরা তাহা কল্পনাতেও উপলব্ধি করিতে পারি না । পুষ্করিণীতে অবতরণ করিতে উদ্যত বালক যেমন যেখানে দাড়াইয়া থাকে সেই স্থানটুকু ও সম্মুখের জলটুকু দেখে, এবং কয়েক মুহুর্তের জন্য যে সুখটুকু পাইবে তাহারই বিষয় ভাবে, কিন্তু তাহার পিতার প্রসারিত দৃষ্ট্রি সেই জলের নিয়ে যে গভীর খাদ আছে তাহা এবং