পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( to ) প্ৰকৃত সুখের পরিবৰ্ত্তে দুঃখ কষ্টই লাভ করিব । অবশ্য ধৰ্ম্ম যথাসময়ে সামঞ্জস্যবিধানের দ্বারা দুঃখ কষ্ট দূৰ করিয়া আমাদিগকে সুখের অধিকারী করিবে নিঃসন্দেহ। কিন্তু আমরা যদি ক্ষণিক সুখের পশ্চাতে ধাবমান না হইয়া প্রথম হইতেই জগতের সামঞ্জস্যকে অনুসরণ করিয়া আপনাদিগের ভিতরেও সামঞ্জস্য বিধান করি, তাহা হইলেই আমরা প্রকৃত সুখ ও প্রকৃত মঙ্গল যুগপৎ লাভ করিব । তাই ধৰ্ম্মকেই প্ৰকৃত সুখ ও মঙ্গলের মূল বলিয়া উল্লেখ করা হয়। বলা বাহুল্য যে এই ধৰ্ম্মেরও কেন্দ্ৰ ভগবানের পাদপদ্মে আত্মসমৰ্পণ • করিলেই সুখ ও মঙ্গলের সামঞ্জস্যবিধান অতি সহজ হয় । ঈশ্বর সর্বদাই আমাদিগের মঙ্গল সাধনে ব্যস্ত আছেন বলিয়া লৈ যে সেই মঙ্গলের সঙ্গে ক্ষণিক সুখের ও ব্যবস্থা ক্ষণিক সুখেরও করিতে ভুলিয়া গিয়াছেন তাহা নহে । তিনি যে ব্যবস্থা কৰেিয়ছিল। ক্ষণিক সুখের ব্যবস্থা করিয়াছেন, তাহা আমাদের কল্যাণেরই অঙ্গ । আমরা যখন জন্মলাভের পর মাতার স্তন্যপান করিয়া বৰ্দ্ধিত হইতে থাকি, তখন আমাদিগের যেমন প্ৰকৃত মঙ্গলসাধন হয়, সেইরূপ আমরা ক্ষণিক সুখও প্ৰাপ্ত হইয়া কৃতাৰ্থ হই । বাল্যকালে যখন প্ৰভাতের সুৰ্যকিরণের সঙ্গে আমরা লুকোচুরি খেলিয়া ছুটাছুটি করিতে থাকি, তখন একদিকে যেমন আমাদিগের স্বাস্থ্যলাভের দ্বারা কল্যাণ সাধিত হয়, অপরদিকে তেমনি সেই স্বাস্থ্যলাভের ফলেই কত না সুখ ও আনন্দ লাভ করি। যৌবনে যখন আমরা বুদ্ধিবৃত্তি সকল পরিচালিত করিয়া আমাদিগের উন্নতির পথ হইতে রাশি রাশি বিস্ত্ৰ সকল অপসারিত করিতে থাকি, তখন