পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( १ ) আমরা যতই দ্রুতপদে উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে থাকি, ততই এক একটী অন্তরায় অপসারিত করিবার সঙ্গে সঙ্গে কি অপারে আনন্দসাগরেই না অবগাহন করি। আবার বৃদ্ধ বয়সে যখন পলিতকেশ গলিতদন্ত অবস্থায় পরলোকে প্ৰস্থানের জন্য আমরা প্ৰস্তুত হইয়া বসি, তখন একদিকে পুত্রপৌত্ৰাদিকে ধৰ্ম্মপথের পথিক হইতে দেখিয়া ঈশ্বরের মঙ্গলহস্তের। কাৰ্য্যপ্রসার দেখিয়া আনন্দে পরিতৃপ্ত হই, অপরদিকে আমরা আপনারাও ঈশ্বরের সহিত সংস্পৰ্শ সুখের ছায়া অনুভব করিয়া অপারে আনন্দ সাগরে নিমগ্ন হই । আমাদিগের জীবন অন্তদৃষ্টি দ্বারা পৰ্য্যালোচনা করিলে দেখিব যে তাহা, প্রকৃতই একটা সুখ ও মঙ্গলের ধারা । এই সুখ ও মঙ্গলের প্ৰবাহ এতদূর স্বাভাবিক যে তাহার জন্য সুখদাতার নাম আমাদের মনেই আসে না । কিন্তু সুখের কারণ ভবিয়া যখন অসুখের কারণকে আলিঙ্গন করি এবং সেই কারণে যথাযুক্ত আঘাত প্ৰাপ্ত হই, তখনই নিজের অদৃষ্টকে ধিক্কার দিই এবং সঙ্গে সঙ্গে ভগবানকেও সকল দুঃখের কারণরূপে নির্দেশ করিয়া তাহার পিতার সিংহাসন কাড়িয়া লইতে ইচ্ছা! করি ! যাহা হইতে মঙ্গল ও সুখ এক অনুপম আনন্দমূৰ্ত্তিতে এই নমস্কৃতি। বিশ্বসংসারে নামিয়া আসিয়াছে, যাহাকে বক্ষে ধারণ করিলে আমাদিগের সকল কাৰ্য্যেই মঙ্গলের সহিত সুখ অবিছিন্ন থাকিবে, এস র্তাহাকে ঋষিদিগের ভাষায় নমস্কার, করিয়া জীবনকে ধন্য করি।--