পাতা:ওঁ পিতা নোঽসি.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ᏄᏬ ) এই কাতর প্রার্থনা যে তুমি তোমার রুদ্রমূৰ্ত্তি সংহরণ করিয়া তোমার অভয় মূৰ্ত্তি আমাদিগের সম্মুখে ধীরে ধীরে প্রকাশ করিতে থেকে। হিমঋতুর কুঙ্কটিকা ভেদ করিয়া প্ৰভাততপনকে ধীরে ধীরে প্রকাশিত হইতে দেখিলে আমাদিগের যে আনন্দ হয় তাহ প্ৰলয়ের পর তোমার অভয়ামূর্তিদর্শনে যে আনন্দ হয় তাহার ক্ষীণতম আভাস মাত্র। আমার দুঃখ আসুক ক্ষতি নাই, শোকতাপে জর্জরিত হই ক্ষতি নাই, যদি তাহার ফলে তোমার করুণা আমাকে সঞ্জীবিত করিয়া তুলে, যদি তোমার দয়াময় মূৰ্ত্তি আমার সম্মুখে প্রকাশিত হয়। আমি জানি যে আমরা যাহাকে প্ৰলয় মনে করিয়া ভীত হই, সেই প্ৰলয়ও যেমন তুমিই প্রেরণ করিয়াছ, সৃষ্টিস্থিতিও তেমনি তোমারি আদেশে নিয়মিত হইতেছে ; আর ইহাও জানি যে সেই প্রলয়ের মধ্যেই তুমি সৃষ্টি ও স্থিতির মূল নিহিত করুিয়া রাখিয়াছে। আমরা যাহাকে দুঃখদৈন্য মনে করি, তাহারই মধ্যে যে তুমি সুখ, মঙ্গল ও আনন্দের উৎস উৎসারিত করিয়া রাখিয়াছ । সেই সৃষ্টির আদিকালে কি ভয়ানক প্ৰলয়কটকা অগ্ন্যুৎপাত প্রভৃতি সংঘটিত হইয়াছিল, আজ আমরা তাহা কল্পনাতেও আনিতে পারি না । কিন্তু সেই প্ৰলয়ঘটনা সমূহের ফলেই পৃথিবী শীতল হইল, বসুন্ধরা শস্যে জীবে পরিাপূর্ণ হইল, মেঘ বারি বর্ষণ করিল, বায়ু সঞ্চলিত হইল। আবার যখন এই পৃথিবীর অধিবাসীগণ উন্নততর লোকে গমনের জন্য প্ৰস্তুত হইল, তখন তোমারই কৃপায় প্রলয়েরই দক্ষিণ হস্ত মৃত্যু আসিয়া তাহাদিগকে লোকপ্তিরে উপনীত করিতে লাগিল। তুমি যখন প্ৰলয়ের মধ্যে, মৃত্যুর মধ্যে নিত্য বৰ্ত্তমান আছ, তখন আমার