পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ea>C-इन्द्ध डर-व्नां য়েই ইনি ভারতবর্ষর নানা স্থানে ঘুরে এসেছেন। যেখানে g) যিনি পিইখানেই বাবাজি অন্নসত্র খুলতেন, যে খানে মহামারী শ্লেষ্টখানে তিনি দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা ক’রতেন । নগ্ন পদে, কৌপৗন সার, মোটা গুধারী গায়ে, পিতার আমলের একটা লোটা হাতে মহান্ত মহাবাজকে কলেরা, ক্ষয় প্রভূতি ভীষণ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছে বসে সেবা শুশ্রুষা করতে অনেকেই দেপেছেন। নিজে রোধে একবার মুষ্টিমেয় অন্ন আহার করতেন, ৩ কিন্তু ঘড়ির কাটার ন্যায় দুঃখীর দুঃখ দূর করতে ঠিক নিয়মিত সময়ে যথা স্থানে তিনি হাজির হ'তেন । এমন কৰ্ম্মী, এমন ত্যাগী, এমন আত্মাভিমান-বিবর্জিত সাধু তখন এ দেশে খুব কমই ছিলেন। “মঠের টাকায় যে দুঃখী ঠার অধিকার’ এই ছিল তার বিশ্বাস । সুতরাং অন্ধ আতুর, নিরন্ন তঁাকে যেমন খুজিত, তিনিও সেইরূপ তাদেরে খুঁজতেন । এর মধ্যে একটা ঘটনা ঘটল, যার জন্য তিনি মঠের সংসৰ্গ ত্যাগ করে প্রবাসী হয়ে পড়লেন । V একদিন মঠের একটা প্ৰকেণ্ঠ তিনি বিশ্রাম কছিলেন। অপর ” প্রকোষ্ঠে দুই ব্যক্তি কথাবাৰ্ত্তা বলছিলেন-বেশ জোর গলায়। তারা জানতেন না মহান্তজি অপর প্রকোষ্ঠো আছেন। ইহাদের একজন হচ্চেন, মঠের প্রধান শিষ্য শ্ৰীগোপাল পাড়ে, আর একজন তার চাইতে অল্পবয়স্ক একটি চেলা । শ্ৰীগোপালের বয়স এখন প্ৰায় ৬০ এর কাছাকাছি । দ্বিতীয় ব্যক্তিটি বলছেন “কানাই বাবাজির পরে ত গদি আপনার দখলেই আসবে।” শ্ৰীগোপাল নেন একটু বিমৰ্ষ সুরে বল্লেন, “কানাই বাবাজির শরীর ত দেখছি। বয়স বেশী হ’লে কি হয় ? “আমি তার ঢের আগেই এলোক হ’তে স’রে পড়ব। ফিরে জন্মে। যদি গদি লাভ করতে পারি, এজন্মে কোন আশাই নাই ৭” SSr.