পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ܦ ܓ ) বাগানে গিয়ে রংএব বোঝাটা ঘরে রেখে, মা যেমন ঘুমন্ত শিশুটি কঁধে ফেলে অতি ধীরে চলে যান, সেই ভাবে পথে যেতে লাগলেন । ৰাবাজির ঘন ঘন নিশ্বাস পড়ছে, এমন কষ্ট ত বাবাজির শৈশবাতীতে কখনও পাননি, 'তিনি বিষয়-নির্লিপ্ত আসক্তি শূন্য সন্ন্যাসী—একি :খ পাষাণের মত বুকে চেপে ধারুল, এক ফোটা জল চোখ থেকে বেরুচ্ছে না, বা বাজি কেবল মৃদুস্বরে বলছেন “হরি হরি।” পথে একটা শিবমন্দি লা ছিল । তার ভেতর লিঙ্গ প্ৰতিষ্ঠিত ছিলেন । দিনে একবার একজন পবেচিত এসে শিবলিঙ্গের মস্তকে ফুল বেলপাতা চড়িয়ে, একটা নৈবেন্ত নিবেদন করে, সেটি গামছায় বেঁধে মন্দিরে শিকল এটে চলে যেতেন । তারপর দিন আবােব যথা সময় এসে ঠিক সেই ভাবে পূজা সারতেন। তখন জোছনা উঠেছে, একটা পুকুর পাড়ে মন্দিবঁট, বা বাজি সেই শোক লািট খুলে দেবেশের দেহ নিয়ে মন্দিরের ভেতর ঢুকলেন । মন্দিরে ঢুকে দোরে খিল তাটুকালেন, তারপর দক্ষিণের ও উত্তরের জানলা দুটি খুলে দিয়ে, একটা মোমবাতি স্বেলে দেবেশের দেহের উপর বুকে পড়ে পরীক্ষা করতে লাগলেন । কান পেতে শুনলেন, বুকের ওঠা পড়ার কোন শব্দষ্ট শোনা যাচ্ছে না । হাতের কবজি থেকে বাহুমূল পৰ্য্যন্ত পরীক্ষণ করে দেখলেন, নাড়ীর অস্তিত্ব কিছু মাত্র টের পাওয়া যাচ্ছে না। নিশ্বাস চলছে কি'না-খুব তীক্ষ দৃষ্টির সহিত কাপড়খানি নাকের কাছে নিয়ে দেখলেন, কাপড় নড়ছে না । তখন খানিকটা মাথায় হাত দিয়ে হতাশ হয়ে ব’সে রইলেন। NONMO